শংকর রায়, রায়গঞ্জ: স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর হতে চলল। আজও একটি সেতু পায়নি হেমতাবাদের (Hemtabad) শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটাররা। তাই বৃহস্পতিবার ভোট দেবেন না বলেই ঠিক করেছেন সকলে। ভোট (West Bengal Election) বয়কটের ডাক তো দিয়েছেনই। সকলে মিলে কুলিক নদীর (Kulik River) ধারে গিয়ে ব্যানার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন।
সকাল থেকেই ফাঁকা হেমতাবাদের সুবর্ণপুর, ফোকসা এবং শেরপুর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। ভোটকর্মী, পোলিং অফিসার, নিরাপত্তা বাহিনী। সকলেই রয়েছেন।শুধু ভোটারদের দেখা নেই। গোটা এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বাস। তার মধ্যে ভোটারের সংখ্যা তিন হাজার। সকাল থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত মাত্র তিনজন ১২৯ নম্বর বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছে। আর কেউ বুথের কাছেও যাননি। কোনও বুথে নেই পোলিং এজেন্টও। আট থেকে আশি সকলেই কুলিক নদীর ধারে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।ব্যানারে লেখা, “রাজনীতির স্বার্থে এলাকাবাসী ভোট দিয়েছে বার বার। এবার এলাকাবাসীর স্বার্থে ব্রিজের দাবিতে ভোট বয়কট অন্তত একবার।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে’কেও বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘শীতলকুচি করতে যাবেন না, সরকার আসলে দেখে নেব’, পুলিশকে হুমকি TMC নেতার]
বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী কুলিক। রায়গঞ্জ শহরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম সেরা মাধ্যম। এলাকার বাসিন্দা সুবর্ণ রায় জানান, যেকোনও বড় কাজের জন্য রায়গঞ্জ শহরে যেতে হয়।শিশু, মহিলা কিংবা বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও অসুবিধায় পড়তে হয়। সেতু তৈরি হলে রায়গঞ্জ হাসপাতালে যেতে ৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হত, এখন ২৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয়। তাই ‘নো ব্রিজ নো ভোট’ স্লোগানে মুখর হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হেমতাবাদ কেন্দ্রটিতে গতবার জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী (CPM Candidate ) দেবেন্দ্রনাথ রায়। এবার এই কেন্দ্রে সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছেন ভূপেন্দ্রনাথ বর্মন।সত্যজিৎ বর্মন তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate)। বিজেপির প্রার্থী (BJP Candidate) চাঁদিমা রায়।