ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনাকালে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করেছিল রাজ্য সরকার। বিনা ঝক্কিতেই চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে উপকৃত আমজনতা। কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষার নিরিখে মিলল কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি। কেন্দ্রের সমীক্ষার নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বাংলা।
বছর দুয়েক আগে করোনার দাপটে কার্যত থমকে যায় গোটা দেশ। ভাইরাসের দাপট সামাল দিতে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করা হয়। তার ফলে সেখানে সাধারণ রোগীদের পক্ষে লম্বা লাইন দিয়ে আউটডোরে ডাক্তার দেখানো কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। তা বলে অন্য রোগের চিকিৎসা বন্ধ রাখা তো সম্ভব নয়। সে কারণেই খাস কলকাতার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আমআদমির নাগালের মধ্যে এনে দেওয়ার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলি মেডিসিন ব্যবস্থা চালু করা হয়।
[আরও পড়ুন: আজই মুম্বইয়ের জার্সিতে অভিষেক শচীনপুত্র অর্জুনের? সারার প্রতিক্রিয়ায় বাড়ল জল্পনা]
অন্যান্য রাজ্যগুলিও করোনাকালে একইভাবে চিকিৎসা পরিষেবা রোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করে। টেলি মেডিসিন পরিষেবা নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। ওই সমীক্ষায় প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর বেশিরভাগ রাজ্যে টেলি মেডিসিন পরিষেবা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বাংলা সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এখনও এই পরিষেবা পাচ্ছেন এ রাজ্যের বাসিন্দারা। টেলি মেডিসিন পরিষেবার সাফল্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র সরকারের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা।