সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ গভর্নর হয়ে উঠেছে সিভি আনন্দ বোস। ক্যানিং থেকে কালিম্পং, সর্বত্র ঘুরে কখনও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন তো কখনও আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। আর রাজ্যপালের এহেন কর্মকাণ্ডকে এবার একহাত নিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সংবিধানের বাইরে বেরিয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল’, দাবি তাঁর।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। আবার সাধারণ মানুষ যাতে নিজেদের যাবতীয় অভাব অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য ‘কমপ্লেন বুক’ও চালু করেছেন তিনি। রাজ্যপালের এসব কাজেই তিতিবিরক্ত বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি বলেন, “আগেও অনেক রাজ্যপাল এসেছেন। তাঁরা রাজ্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই কাজ করেছেন। কিন্তু রাজ্যপালের এমন রূপ আগে দেখিনি। অনেক বিষয়েই তিনি অতিসক্রিয়।” এরপরই যোগ করেন, “আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা রাজ্যের কাজ। এটি রাজ্যপালের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। কিন্তু এর মধ্যেও ঢুকে পড়ছেন তিনি। সংবিধানের বাইরে বেরিয়ে অনেক কাজ করছেন। নিজে থেকেই কমপ্লেন বুক খুলছেন। কোনও রাজ্যে এমনটা হতে দেখিনি।”
[আরও পড়ুন: পার্থর আংটি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ]
এদিকে, এদিন কোচবিহারে পৌঁছেই প্রশাসনকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। বলে দেন, “কোচবিহার থেকেও হিংসার উদ্বেগজনক খবর আসছে। আমি আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। রাজভবনকে ভ্রাম্যমান করে তুলব। মানুষ চাইলে রাস্তায় আমায় থামিয়ে কথা বলতে পারবেন। বাংলায় এই ধরনের হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে আবার শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতি মুক্ত করার ডাকও দেন রাজ্যপাল। শুক্রবার কালিম্পং কলেজের ৭৫ বছর উপযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্যে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র-উপাচার্য হবে। যেসব উজ্জ্বল-মেধাবি পড়ুয়া স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন এবং গবেষণা করছেন, তাঁরাই আগামীতে উপাচার্য হবেন। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথমবার হবে।’