মলয় কুণ্ডু: প্রতিকূলতা ছিল হাজারও। সেসব পেরিয়ে গ্রামগঞ্জের বাড়ি বাড়িতে নির্বিঘ্নে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই কাজে অক্টোবর মাসের রেকর্ডে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল বাংলা (West Bengal)। চলতি মাসে দ্বিতীয় হলেও এর আগের দু’মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানেই ছিল এই রাজ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তর (PHE) অক্টোবর মাসে রাজ্যের ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৪০০টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিয়েছে। দেশের মধ্যে প্রথম কর্ণাটক। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসে রাজ্যে শারদোৎসব ছিল। তাছাড়াও একাধিকবার বন্যা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি জেলা। তা সত্ত্বেও পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ চালিয়ে গিয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর।
[আরও পড়ুন: চিনা আলোয় ছেয়েছে বাজার, দিওয়ালিতে বাহারি টুনিকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত বাংলার ‘প্রদীপ গ্রাম’]
রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার জন্য জোরকদমে কাজ চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় জলপ্রকল্পের কাজও চলছে। প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করেছিলেন, তার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। ২০২৪ সালের আগেই এই প্রকল্পে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। তার জন্য প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আমতায় ভাম বিড়াল পুড়িয়ে মাংস খাওয়ার চেষ্টা, কী হাল হল তিন যুবকের?]
অন্যদিকে, গ্রামবাসীকে স্বচ্ছ পানীয় জলের উপকারিতা বোঝাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজে লাগানোর ভাবনা রয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের। মন্ত্রী পুলক রায়ের কথায়, ”জেলা এবং পঞ্চায়েত জল ও স্বাস্থ্যবিধান যে কমিটি রয়েছে, সেই কমিটির কাজে এঁরা সাহায্য করবেন। দুটি কমিটির মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবেও কাজ করবেন।” গ্রামবাংলায় পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে জানাচ্ছেন তিনি।