shono
Advertisement

‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’, মমতার প্রস্তাবিত রাজ্য সঙ্গীত দিয়েই শুরু বামেদের ব্রিগেড

বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বের সাফাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবিগুরুর গানটিকে বিকৃত করেছিলেন। তারই প্রতিবাদে ওই গানটি অবিকৃতভাবে গাওয়া হল ব্রিগেডের মঞ্চে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সঙ্গীত বিকৃত করেছেন বলে যে অভিযোগ বামেরা করছে, সেটা সত্যি নয়।
Posted: 01:27 PM Jan 07, 2024Updated: 01:37 PM Jan 07, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে গাইতে হবে রাজ্য সঙ্গীত (State Anthem)। নিয়ম করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা জানানোও হয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কার্যত ‘অক্ষরে অক্ষরে’ পালন করল বামেরা। ব্রিগেডের মেগা সমাবেশের শুরুটাই হল সেই রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে।

Advertisement

DYFI-এর সমাবেশের শুভসূচনা ঘোষণাকারী উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হল কবিগুরুর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি। এই গানটি ব্রিগেডের মূল মঞ্চে সমাবেশ শুরুর আগে পরিবেশন করছে চাকদহের একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। বাম ব্রিগেডে মমতার প্রস্তাবিত রাজ্য সঙ্গীত শুনে হোঁচট খেয়ে যান অনেকেই। যদিও ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের দাবি, সমাবেশের শুরুতে ওই গান গাওয়াটা আকস্মিক কোনও ঘটনা নয়। বা তাদের অজান্তেও হয়নি। সবটাই পরিকল্পিত।

[আরও পড়ুন: আলবিদা ওয়ার্নার, বিদায়বেলায় খুদে সমর্থককে হেলমেট-গ্লাভস উপহার অজি তারকার]

বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বের সাফাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবিগুরুর গানটিকে বিকৃত করেছিলেন। তারই প্রতিবাদে ওই গানটি অবিকৃতভাবে গাওয়া হল ব্রিগেডের মঞ্চে। ডিওয়াইএফআইয়ের কলকাতার জেলা সম্পাদক পৌলমী মজুমদার এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ধর্মীয় বিভাজনের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ এই গান লিখেছিলেন। আজকের প্রেক্ষাপটে তা তাৎপর্যপূর্ণ। তাই ব্রিগেড (Brigade) সমাবেশের শুরুতে এই গানটি গাওয়া হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ভিতরে জলরাশির শব্দ, পাশে খেলে বেড়াবে মাছ, গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর যেন অ্যাকোয়ারিয়াম!]

মজার কথা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সঙ্গীত বিকৃত করেছেন বলে যে অভিযোগ বামেরা করছে, সেটা সত্যি নয়। মুখ্যমন্ত্রী শুরুতে গানটির শেষ দু’টি স্তবকে ‘বাঙালির পণ, বাঙালির আশা’ বা ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন’ অংশটিকে ‘বাংলার’ করে গাওয়ানো যায় কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন বটে। কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথের মূল গানটিকেই রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে বাছা হয়েছে। আর সেই গানটিই এদিনের ব্রিগেড সমাবেশে গাওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement