সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর র্যাগিং কাণ্ড নিয়ে আলোড়নের মধ্যেই ভিনরাজ্যে বাংলার পড়ুয়ার মৃত্যু। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের হস্টেলে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল কলকাতার এক পড়ুয়ার। খুনের অভিযোগে সরব ওই পড়ুয়ার পরিবার।
টালিগঞ্জের বছর ষোলোর ওই পড়ুয়া বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলেন। স্বপ্ন ছিল ডাক্তারি পড়ার। তাই নিটের প্রস্তুতি নিতে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমের একটি প্রতিষ্ঠানে ভরতি হয় সে। একাদশ শ্রেণিতে ভরতি হওয়ার পরই বিশাখাপত্তনমে চলে যায় টালিগঞ্জের ওই ছাত্রী। গত এক বছর সেখানেই আছে সে। একই সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণি এবং নিটের প্রস্তুতি চালাচ্ছিল ওই পড়ুয়া।
[আরও পড়ুন: আবারও প্রকাশ্যে আপ এবং কংগ্রেসের কাজিয়া, ফের প্রশ্নে INDIA জোটের ভবিষ্যৎ]
গত ১৪ জুলাই রাত ১১ নাগাদ হস্টেলের সুপার ওই পড়ুয়ার বাবা ফোন করে জানান, ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে টালিগঞ্জের ওই ছাত্রী। পরের দিন বিশাখাপত্তনমে যান পড়ুয়ার বাবা-মা। ১৬ আগস্ট হাসপাতালে মৃত্যু হয় মেয়ের। মৃতার বাবা জানিয়েছে, প্রথমে যখন তাঁদের মেয়েকে ভিডিও কলে দেখানো হয়, তখন সে সুস্থই ছিল। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে মৃত্যু হল হস্টেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য। মেয়ের উপযুক্ত চিকিৎসা করানো হয়নি। হাসপাতালে কার্যত ফেলে রাখা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সক্রিয় হয়ে উঠছিল ইসলামিক স্টেটের স্লিপার সেল! আদালতে দাবি NIA’র]
শুধু তাই নয়, প্রথমে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এফআইআর নিতেও গড়িমসি করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত পড়ুয়ার পরিবার বলছে, হস্টেল থেকে ৮ ফুট দূরত্বে দেহ উদ্ধার, তাহলে কীভাবে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে? তাঁরা বলছেন, হস্টেলের ঘরে মদের বোতল মেলায় অভিযোগ জানিয়েছিল মেয়ে। সেই আক্রোশেই খুন করা হয়েছে তাঁকে।