স্টাফ রিপোর্টার: ফের ভারতসেরা বাংলা। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠী (Self help group) তৈরিতে শীর্ষস্থান দখল করল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এই সাফল্যের খবর নিজে টুইট করে জানিয়েছেন। তাঁর টুইট, পশ্চিমবঙ্গে ১০.০৪ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেখানে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ। ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশনের আওতায় এই সাফল্য এসেছে।
অন্যান্য ক্ষেত্রে ঋণ (Loan) নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র ছাড়াও বন্ধকী এবং গ্যারান্টার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই ঋণের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতারা কেবলমাত্র নিজেদের পরিচয়পত্র দেখিয়েই ঋণ পাচ্ছেন। এই সুবিধা থাকার কারণে তাঁরা ঋণের টাকা স্বনির্ভরতার কাজে লাগাচ্ছেন। কোনও রকম গ্যারান্টার ছাড়াই এই লোন পাওয়া এবং সেই টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে স্বনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। জেলা সর্বশিক্ষা মিশন থেকে প্রতিটি ব্লকের সমবায়ের অধীনে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে পোশাক তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। নবান্ন (Nabanna) এত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে বলেই এ রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এত বড় সাফল্য। এবার মোদি সরকারও সবচেয়ে বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির জন্য বাংলাকে ভারতসেরা ঘোষণা করল।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশে শুরু নিয়োগ, ১৮৭ জনকে ইন্টারভিউর ডাক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের]
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে একশো দিনের প্রকল্পে বিভিন্ন বিভাগে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া মাপকাঠিতে সেরার শিরোপা উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাথায়। একবার নয়, একাধিকবার এই পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। শিক্ষায় ‘স্কচ’ (SKOTCH) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহে, বুনিয়াদি শিক্ষাতেও ভারতসেরা হয়েছে বাংলা। অথচ, বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, সোমবারই সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অমরিন্দর সিং]
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী খড়গপুরের (Kharagur) সভায় এনিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেছিলেন, বাংলা বারবার প্রথম হয় বলেই মোদি সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। একশো দিনের কাজ, বাংলা সড়ক ও বাংলা আবাস যোজনা-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ শোনা যায় তাঁর গলায়। অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রকল্পগুলিতে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে নালিশ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ একাধিক মন্ত্রীকে। তারপরই প্রকল্পগুলিতেও টাকা বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ।