নিরুফা খাতুন: শুক্রবার রাত থেকে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। শনি, রবির পর সোমেও আকাশের মুখভার। দফায় দফায় চলছে বৃষ্টি। কবে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলবে, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। সেদিনও কি একই আবহাওয়া থাকবে? অবশ্য সুখবর শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার থেকেই ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া বদলের সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে দেখা মিলতে পারে রোদেরও।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন পশ্চিমের জেলাগুলিতে এই অতি গভীর নিম্নচাপের অবস্থান। সোমবার সকালের পর এটি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটি উত্তর ছত্তিশগড় এলাকায় পৌঁছবে। এদিকে, আবার মৌসুমী অক্ষরেখা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বেশ সক্রিয়। ফিরোজপুর পাতিয়ালা শাহজাহানপুর বালিয়ার পর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অতি গভীর নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। জোড়া ফলায় বৃষ্টি ভিজছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ।
সোমবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে। কলকাতা-সহ বাকি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি। শনিবার পর্যন্ত সেভাবে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আবার সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে অবশ্য বদলাবে আবহাওয়া। মিলবে রোদের দেখা। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে, একটানা বৃষ্টিতে একধাক্কায় কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেরই কমেছে তাপমাত্রা। তবে বৃষ্টি কমলেই কলকাতায় ফের আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ফিরবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।