সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলোমেলো চুল। হাতে ট্রলিব্যাগ। থানায় ঢুকে সোজা পুলিশ আধিকারিকের সামনে মহিলা। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তার স্বীকারোক্তি, “মাকে খুন করেছি। এই ট্রলিব্যাগে রয়েছে দেহাংশ।” বাংলার মহিলার কাণ্ডে শিহরিত বেঙ্গালুরু পুলিশ।
ওই মহিলা আদতে বাংলার বাসিন্দা। পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। তিনি বর্তমানে বিবাহসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। স্বামী, শাশুড়ির সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন তাঁর মা-ও। মহিলার দাবি, প্রায়শই মায়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হত। তার জেরে চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সোমবার দুপুরে বাড়িতে স্বামী ছিলেন না। সেই সুযোগে মাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় ওই মহিলা। তারপর মায়ের দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে সে। দেহাংশ ট্রলিব্যাগের ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়।
[আরও পড়ুন: ‘বৈধ নয়’, রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের]
এরপর ওই মহিলা ট্রলিব্যাগ সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সোজা থানায় যায়। পুলিশের কাছে গিয়ে মায়ের ছবি দেখায়। জানায়, সে তার মাকে খুন করেছে। এরপর ট্রলিব্যাগ খুলে দেহাংশগুলিও দেখিয়ে দেয়। পুলিশকে স্পষ্ট জানায়, প্রায়শয়ই মায়ের সঙ্গে অশান্তি হত তার। আর তার জেরে মাকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত।
পরিকল্পনামাফিক প্রথমে মাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। মৃত্যুর পর তাকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। এরপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। অভিযুক্তের শাশুড়ির দাবি, খুনের সময় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও খুনের কথা টের পাননি তিনি। মহিলার কাণ্ডে হতবাক প্রায় সকলেই।