ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২১৮/৫ (পুরান ৯৮, চার্লস ৪৩, গুলবাদিন ১৪/২)
আফগানিস্তান: ১১৪/১০ (ইব্রাহিম জাদরান ৩৮, ওমারজাই ২৩, ওবেদ ম্যাককয় ১৪/৩)
১০৪ রানে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়মরক্ষার ম্যাচ। গ্রুপ সি থেকে ইতিমধ্যেই পরের রাউন্ডে চলে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আফগানিস্তান। কিন্তু সেই ম্যাচেও রেকর্ডের কমতি ছিল না। এক ওভারে ৩৬ রান দিলেন আফগানিস্তানের আজমাতুল্লাহ ওমারজাই। ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন নিকোলাস পুরান। চলতি বিশ্বকাপে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচ জিতে নিল ১০৪ রানে।
রেকর্ডের এখানেই শেষ নয়। পাওয়ার প্লে-তে পুরানরা তুললেন ৯২ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটাও রেকর্ড। এমনকী টুর্নামেন্টের ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরটাও করে ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। প্রথম তিন ওভার মন্দ যায়নি তাঁদের।
[আরও পড়ুন: দেশঁর ‘সেঞ্চুরিতে’ কাঁটা এমবাপের চোট, অস্ট্রিয়ার আত্মঘাতী গোলে কষ্টের জয় ফ্রান্সের]
কিন্তু চতুর্থ ওভারে আজমাতুল্লাহ ওমারজাই আসতেই সমস্ত হিসেব গুলিয়ে গেল। সেই ওভারে উঠল ৩৬ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই রানের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। অনেকেরই মনে পড়বে ২০০৭ বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে যুবরাজ সিংয়ের ছয় ছক্কার ঘটনা। কিন্তু পুরান সেই রেকর্ড ছুঁতে পারেননি। তিনটি ছয়, চারটি চার, নো বল আর ওয়াইডে উঠল ৩৬। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। পুরান করলেন ৯৮ রান। তাঁকে সঙ্গ দিলেন জনসন চার্লস আর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২১৮ রান।
জবাবে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি গুরবাজরা। প্রথম ওভারেই ফিরে যান নাইট ব্যাটার। ইব্রাহিম জারদান (৩৮) একদিক ধরে রাখার চেষ্টা করলেও গুলবাদিন নাইব, নাজবুল্লাহ, মোহম্মদ নবিরা সবাই ব্যর্থ। বরং বোলিং বিভীষিকা কাটিয়ে কিছুটা পালটা ফিরিয়ে দেন ওমারজাই। কিন্তু বড় রানের লক্ষ্যের সামনে সেটা যথেষ্ট ছিল না। মাত্র ১১৪ রানে সব উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ১০৪ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দুটি দলই ইতিমধ্যে সুপার এইটে পৌঁছে গিয়েছে। শেষ ম্যাচ জিতে সি গ্রুপের প্রথমেই শেষ করল ক্যারিবিয়ানরা। 'সিডিং' পদ্ধতির নিয়মে শেষ আটে আফগানিস্তান রইল ভারতের গ্রুপে। এই হারে সেই হিসেবে কোনও পার্থক্য ঘটল না।