সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনেশ ফোগাটের রুপো হাতছাড়া হওয়ার দুঃখ এখনও ভুলতে পারেনি দেশবাসী। তার মধ্যেই ফের দুশ্চিন্তায় ভারতের কুস্তি ফেডারেশন। দিল্লির হাই কোর্ট নতুন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে সমস্যায় পড়তে চলেছেন দেশের কুস্তিগিররাও। বিশেষ করে সামনেই যখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রয়েছে, তখন নির্বাসনের খাঁড়া ঝুলছে কুস্তি ফেডারেশনের উপর।
সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্ট ফের ফেডারেশনের উপর ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার দ্বারা তৈরি করা অ্যাড হক কমিটিকে ফিরিয়ে এনেছে। যার অর্থ, ডব্লুএফআই-এর বর্তমান কমিটির কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে অন্য সংকটও। আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা কখনই দেশের সংস্থার কাজে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করে না। ফলে নির্বাসিত হতে পারে ডব্লুএফআই।
[আরও পড়ুন: বাবার স্বপ্ন, মায়ের সাহস! অলিম্পিকের পর লড়াকু জীবনের গল্প শোনালেন ভিনেশ]
গত বছরও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল দেশের কুস্তিতে। ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকের মতো কুস্তিগিররা। তখনও ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা অ্যাড-হক কমিটি গঠন করে তাদের হাতেই কুস্তি পরিচালনার ভার দেয়। তার পরই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের যুক্তিতে নির্বাসিত করা হয়। বছরের শেষের দিকে নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসেন সঞ্জয় সিং। তিনি আবার ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
[আরও পড়ুন: ‘এসব র্যাঙ্কিং কারা বানায়?’ পাকিস্তানেই কটাক্ষ আইসিসির ওয়ানডে ক্রিকেটের ‘ফার্স্ট বয়’ বাবরকে]
যদিও কুস্তি সংস্থা থেকে ফের আবেদনের কথা জানানো হয়েছে। সভাপতি সঞ্জয় সিংয়ের বক্তব্য, "আমরা ডবল বেঞ্চে বিষয়টা নিয়ে যাব। আইওএ থেকে আগেই অ্যাড-হক প্যানেল তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছেও আবেদন করব। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে যে আমরা নির্বাসিত হতে পারি, সেটা তারা আগেই জানিয়েছিল। সামনেই দুটো বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ আসছে। সেখানে আমাদের কুস্তিগিরদের অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।" উল্লেখ্য চলতি মাসেই অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রয়েছে। সেপ্টেম্বরে হবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।