সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরস্থলেই কি জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) তৈরি হয়েছে? মসজিদ চত্বরের অজুখানায় কি মিলেছে শিবলিঙ্গ? না কি সেটি একটি ফোয়ারা? বিতর্কের নিষ্পত্তিতে মামলা চলছে আদালতে। এর মধ্যেই জ্ঞানবাপী নিয়ে বিস্ফোরক উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath)। প্রশ্ন তুললেন, “মসজিদে ত্রিশূল এল কোথা থেকে?” পাশাপাশি যোগীর মন্তব্য, “জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বললে বিতর্ক হবেই। ঐতিহাসিক ভুলকে সংশোধন করে নেওয়ার বিষয়ে মুসলিম মামলাকারীদের এগিয়ে আসা উচিত।”
জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ফের স্থগিত করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানির পরে এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court) জানায়, আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত মসজিদ চত্বরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা যাবে না। মসজিদ চত্বরে সমীক্ষার কাজ আদৌ নিরাপদ কিনা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ শুনানি হয়েছিল। আপাতত রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। এর পরেই যোগীর মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছে তাঁর সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘২০২৪ লোকসভা ভোটে হারের পর বিদেশে ঠাঁই নেবেন মোদি’, কটাক্ষ লালুর]
যোগী সাফ কথা “জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বললে ভুল বলা হবে। মসজিদে ত্রিশূল কী করছে? আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারিনি। ওখানে জ্যোতির্লিঙ্গ আছে, দেবতারা আছেন।” গোটা দেশে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মুখ আরও বলেন, “ঐতিহাসিক ভুলকে সংশোধন করে নেওয়ার বিষয়ে মুসলিম পক্ষেরও প্রস্তাব দেওয়া উচিত। আমরা নিষ্পত্তি চাই।” অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি স্বামী চক্রপানী মহারাজ যোগীর বক্তব্যকে সমর্থন করে ইতিমধ্যে মুসিলম পক্ষকে প্রস্তাবও করেছেন। চক্রপানী মহারাজ বলেন, “মুসলিম আবেদনকারীদের জন্য ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বার্তা দেওয়ার এটি একটি ভাল সুযোগ।”
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মণিপুরের দুই নির্যাতিতা, ভাইরাল ভিডিওর শুনানি প্রধান বিচারপতির এজলাসে]
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই বারাণসীর (Varanasi) জেলা আদালত জানিয়ে দেয়, মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গ’ বাদে বাকি অঞ্চলের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই নির্দেশ মেনে রায়দানের মাত্র দু’দিন পরেই শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। কার্বন ডেটিংয়ের কাজ করতে এত তাড়াহুড়ো করার কী প্রয়োজন, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি।
মসজিদ কমিটির দাবি, যদি জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে খননকার্য চলে তাহলে স্থাপত্য ভেঙে পড়তে পারে। যদিও পালটা দিয়ে হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে প্রয়োজন পড়লে তবেই খননকাজ হবে মসজিদে। এএসআইয়ের তরফেও বলা হয়, তাদের কাজের পদ্ধতির জেরে মসজিদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ এই প্রসঙ্গে শুনানি চলে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। আগামী ৩ আগস্ট মামলার রায় দেবেন বিচারপতি।