সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলকাতার দুই ব্যবসায়ী দীপেশ চন্দক ও হিতেশ চন্দকের বাড়ি ও অফিস। ৫ বছর আগে তাঁরা পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হন। পরে রাজসাক্ষী হন ও মুক্তি পান। এবার ফের রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সেই চন্দক ভাইরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে। আর এখানেই রেশন ও পশুখাদ্য দুর্নীতির মিল খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
২০০৪ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার হন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। সেই মামলার সিবিআইয়ের যে দলটি তদন্ত করছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন সিবিআইয়ের (CBI) প্রাক্তন অধিকর্তা উপেন বিশ্বাস। রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে তাঁর মতামত, এর সঙ্গে বিহারের পশুখাদ্য মামলার বিস্তর মিল রয়েছে। তিনি স্পষ্টতই জানালেন, দীপেশ চন্দকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল পশুখাদ্য মামলায়। এবার রেশন দুর্নীতিতেও তাঁর সংস্থার যোগ থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাঁর উপর প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে মত তদন্তকারীদের।
[আরও পড়ুন: ‘এজেন্সির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেকে ঠিক রাখতে হবে’, তৃণমূলকে ‘পাঠ’ অর্জুনের]
কিন্তু কে এই দীপেশ চন্দক? বিহারে পশুখাদ্য মামলার (Fodder scam)রাজসাক্ষী হয়ে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে রেশন বণ্টন নিয়ে ঘুষ দিতে গিয়ে ফের গ্রেপ্তার হন। প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস জানান, চন্দক একজন খুব গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত। দীপেশ চন্দকের বাড়ি বিহারে নয়, বাংলায়। তবে বিহারে তাঁর গোডাউন, অফিস, গ্যারেজও রয়েছে। অথচ ওখানকার সর্বস্তরের প্রভাবশালীদের সঙ্গে ওর যোগাযোগ ছিল। বিহারে (Bihar) যে গ্যারেজ রয়েছে, সেখানে বস্তাভর্তি টাকা আসত। যখন যে রাজ্যে টাকা পাঠানোর দরকার হত, সেখানে গিয়ে টাকা দিয়ে আসত দীপেশ চন্দক। এখন বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ধাঁচেই কি এখানকার রেশন দুর্নীতি? হওয়া অসম্ভব নয়। দুর্নীতিতে যেসব যোগ উঠে আসছে, তাতে এই সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে।