রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রথম সভা নিয়ে জল্পনা চলছিল সব মহলেই। অনেকের ধারণা ছিল, এই সভা থেকেই হয়তো আকারে ইঙ্গিতে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন তৃণমূল বিধায়ক। জানাবেন আগামীর পরিকল্পনা। কিন্তু নাহ, প্রথম সভার শেষেও জারি শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনা। কারণ, এবিষয়ে কোনও মন্তব্যই করলেন না তিনি।
শেষ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। যার জেরে কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। শাসকদলের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে আক্রমণ করেছেন তাঁকে। ফলে অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার মেদিনীপুরের দাপুটে নেতার দলবদলের পালা। এসব জল্পনার মাঝেই শুক্রবার মন্ত্রি পথ ইস্তফা দেন শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, কেবলমাত্র বিধায়ক পদ ছাড়া বাকি যা যা দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ছিল, সমস্তটাই ছেড়ে দেন তিনি। সেইদিন থেকেই জোড়ালো হয় প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর বিজেপি (BJP) যোগের জল্পনা। গুঞ্জন ছড়ায়, শনিবারই দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি। যোগ দেবেন পদ্ম শিবিরে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পর প্রথম সভা করার ছিল শুভেন্দু অধিকারীর।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের বেকারত্বের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপি নেতার, রাস্তায় বসেই ভাজলেন চপ!]
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, রাজ্যবাসী সকলের মনেই ধারণা ছিল, এদিনের সভা থেকেই হয়তো শাসকদলকে নিশানা করবেন প্রাক্তন মন্ত্রী। হয়তো ইঙ্গিতে বোঝাবেন দলবদলের কথা। কিন্তু এদিনের সভায় তেমন কোনও মন্তব্যই করলেন না শুভেন্দু। বরং আলোচনা করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং তাঁর তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতিকে নিয়ে। তবে সবশেষে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন, সামর্থ্য অনুযায়ী আজীবন সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন শুভেন্দুর সভার পালটা দিতে হলদিয়ায় মিছিল করেন শাসকদলের হেবিওয়েট দুই নেতা।