সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুখড় বাগ্মিতা, যুক্তিপূর্ণ তর্কে বিরোধীকে নাস্তানাবুদ করা – একাধিক গুণসম্পন্ন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্র নিঃসন্দেহে সংসদে শাসকদলকে চাপে ফেলেন। তাই তিনি যে টার্গেট হবেন, তা স্বাভাবিক। এবার সেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। তিনি নাকি অর্থ এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে বিজেপি (BJP) ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংসদে সরব হয়েছেন। আর তাঁকে ব্যবহার করে একাজ করিয়েছেন দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরনন্দানি। সম্প্রতি হীরনন্দানি সে কথা স্বীকার করে নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) পক্ষে। এই অবস্থায় তাঁকে নিয়ে দলের কী অবস্থান? আপাতত মুখে কুলুপ আঁটার পথেই হাঁটছে দল। এ বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ”এ নিয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য নেই। দল কোনও প্রতিক্রিয়া দেবে না।”
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তুলে মহুয়া স্বাধিকার ভঙ্গ করেছেন। এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রও করেছেন। বিজেপি সাংসদকে নাকি ওই সব অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরি। এই দুজনের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাই কোর্টে মানহানির মামলা করেছেন মহুয়া। শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) মামলার শুনানি ছিল। স্বার্থের সংঘাতে পড়ে মামলা থেকে তাঁর আইনজীবী সরে দাঁড়ানোয় শুনানি পিছিয়ে যায়। তা সাংসদের পক্ষে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: সরলেন আইনজীবী, বিজেপি সাংসদ ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাতেও ‘ধাক্কা’ মহুয়ার]
এই অবস্থায় দলের তরফে মহুয়াকে মৈত্রকে নিয়ে কী মতামত, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে। এনিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যা বললেন, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এই মুহূর্তে এনিয়ে কোনও নির্দিষ্ট অবস্থান নিচ্ছে না। বরং চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করছে। তবে কি ঘরে-বাইরে জোড়া চাপে তৃণমূল সাংসদ? তিনি নিজে অবশ্য গোটা বিষয়টিতে বিজেপিকে নিশানা করেছেন। সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করছেন। তিনি জানিয়েছেন, সংসদের এথিক্স কমিটি ডাকলে তবেই সেখানে যা বলার বিস্তারিত জানাবেন। এর বাইরে কোথাও কিছু বলবেন না। এখন তিনি ভরপুর পুজোর আমেজ উপভোগ করছেন।