সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাই যে কাজ করেছে তা উপেক্ষা করতে পারবেন না দেশের মানুষ। দাবি করলেন গর্বিত দাদা। ভাইয়ের নাম নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। দাদাটি হলেন সোমাভাই মোদি (Somabhai Modi)। রবিবার দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে মোদির সঙ্গে দেখা হয় দাদার। সোমবার ছোট ভাইয়ের ভূয়ষী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রীর দাদা।
রবিবার বিকেলে গান্ধীনগরে (Gandhinagar) নিজের বাড়িতে গিয়ে মা হীরাবেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মোদি। সোমবার সকালে আমেদাবাদ (Ahamedabad) রানিপে নিশান পাবলিক স্কুলের বুথে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী। একই বুথে ভোট দেন দাদা সোমাভাই। এর পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে ভাইয়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, “আমি ওঁকে (নরেন্দ্র) বলেছি, দেশের মানুষের জন্য অনেক দিন ধরে কাজ করে চলেছ। এবার একটু বিশ্রাম নেওয়া উচিত।” এরপর সোমাভাই দাবি করেন, গুজরাটের (Gujarat) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার পরবর্তী সময়ে তাঁর ভাই নরেন্দ্র মোদি যে কাজ করেছেন, মানুষ তা উপেক্ষা করতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: কলিযুগের যুধিষ্ঠির! বাড়ির মালিকের সঙ্গে লুডো খেলায় নিজেকেই বাজি রাখলেন যুবতী, তারপর…]
গুজরাটের ভোটদাতাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন মোদির দাদা। বলেন, “ভোটদাতাদের প্রতি আমার একটাই বার্তা, তাঁরা যেন গণতান্ত্রিক অধিকারের সঠিক প্রয়োগ করেন। দেশের উন্নয়নে কাজ করবে, এমন দলকেই তাঁরা যেন ভোট দেন।” এদিকে আমেদাবাদে ভোটদানের আগে ‘রোড শো’ করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রানিপে ভোটকেন্দ্রে আসার সময় জনতাকে হাত নেড়ে এবং নমস্কার জানিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। এই সময় ‘মোদি’ ‘মোদি’ স্লোগান ওঠে। এই ঘটনায় কংগ্রেস-সহ (Congress) বিরোধীরা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘জোর করে ধর্মান্তরণ সংবিধান বিরোধী’, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
উল্লেখ্য, গুজরাটে দ্বিতীয় দফায় ৯৩টি আসনে ভোটগ্রহণ ছিল। ৯৩টি আসনের প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ হয়। শান্তিপূর্ণ ও আবাধ ভোট করাতে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশও মোতায়েন ছিল। ছিল ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। তবে কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে কংগ্রেস (Congress)। অভিযোগ, কমিশন ত্রিপুরা, অসমের মতো বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী এনে ভোট করাচ্ছে। এই বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।