গোবিন্দ রায়: সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, পাথর খাদান, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের ফুসফুসে বাসা বাঁধছে মারণ রোগ সিলিকোসিস (Silicosis)। পাথর ভাঙতে গিয়ে সেই গুঁড়ো নাকে ঢুকে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে শ্রমিকদের। শুকিয়ে যেতে শুরু করছে শরীর। এই সমস্ত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য কী ব্য়বস্থা করছে রাজ্য সরকার। এবার এ প্রশ্নেরই জবাব চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।
সিলিকোসিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই আইন কার্যকরী করা হয়েছে। মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু রাজ্য় এক্ষেত্রে কতদূর এগোলো? সেই উত্তরই এবার চাইল হাই কোর্ট। এই সব ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ২০২১ সালে রাজ্য যে গাইডলাইন তৈরি করেছিল, তা বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে? এই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্যকে পেশ করতে বলল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৯ মে’র মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি, হতাশ আন্দোলনকারীরা]
সিলিকোসিসে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। পশ্চিমবঙ্গেও যাতে হরিয়ানা মডেলে সিলিকোসিস আক্রান্ত ও মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করে, আদালতকে সেই নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার হাই কোর্ট রাজ্যকে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিল।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গে বৈধ তথা নথিভুক্ত পাথর খাদানের বাইরেও অবৈধ ভাবে কাজ করছে বহু যন্ত্র। আর তাতেই বাড়ছে ঝুঁকি। অন্তত সাড়ে ছ’লক্ষ শ্রমিক সিলিকোসিসের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।