সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় আততায়ীরা। এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছে ৪ জন। প্রতিদিনই নিত্যনতুন তথ্য হাতে আসছে পুলিশের। এবার জানা গেল, গুলিবিদ্ধ সিদ্দিকির শেষ কথা কী ছিল।
কী বলেছিলেন প্রাক্তন এনসিপি নেতা? তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''আমার শরীরে বুলেট বিঁধেছে। আমি আর বাঁচব না। আমি মারা যাব।'' এমনটাই দাবি সিদ্দিকি-ঘনিষ্ঠদের। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, হামলার আগে প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল আততায়ীরা। এমনকী, তারা দশেরা উপলক্ষে বিতড়িত সরবতও পান করে তারা। তার পরই আচমকা হামলা চালিয়ে গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয় সিদ্দিকির শরীর।
এখনও পর্যন্ত মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই মামলায় ১৫ জনের বেশি মানুষের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। নতুন করে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এটাই এই মামলার চতুর্থ গ্রেপ্তারি। শনিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দশেরা উৎসব পালনের সময় খুন হন প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তিনি বেশ জনপ্রিয় নেতা। দীর্ঘদিন কংগ্রেস করেছেন। পরে যোগ দিয়েছেন অজিত পওয়ারের এনসিপি শিবিরে।
এহেন ব্যক্তির হত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই খুনের দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। মূল পান্ডা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মহম্মদ জিশান আখতার দুবছর আগে পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতির মামলা ছিল। পাতিয়ালা জেলেই তার সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ হয়। জেলমুক্তির পর সে মুম্বইয়ে এসে এসব কাজে হাত পাকায়। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু বাবা সিদ্দিকি নন, হত্যাকারীদের টার্গেটে ছিলেন বাবা সিদ্দিকির পুত্র বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিও। রীতিমতো কপালজোরে রক্ষা পান তিনি। তিন অভিযুক্তকে জেরার পর পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে দাবি।