সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ বছর ধরে রাজভবনে আটকে ছিল ১০টি বিল। বিল আটকে রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তিরস্কৃত হওয়ার পরও সেগুলিতে ছাড়পত্র দেননি তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। যার জেরে ফের তাঁকে বিঁধল শীর্ষ আদালত। তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “৩ বছর ধরে কী করছিলেন?”
আসলে রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া বিল আটকে রাখায় রাজ্যপাল এন রবি (R N Ravi) ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার পর দিন দুই আগেই ওই ১০টি বিল বিধানসভায় ফেরত পাঠান তিনি। তাতে বেশ কয়েকটি সংশোধনীর সুপারিশও করেছেন। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “আমাদের উদ্বেগের জায়গা হল, ১০ নভেম্বর আমাদের রায়ের পর রাজ্যপাল বিলগুলি নিয়ে পদক্ষেপ করেছেন। তাহলে তিনি ৩ বছর ধরে কী করছিলেন।”
[আরও পড়ুন: মেগা ফাইনালে পন্টিং, গিলক্রিস্টের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে কী বলছেন ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড?]
তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অভিযোগ করেছিল, রাজ্যপাল ইচ্ছা করে বিলগুলি আটকে রেখেছেন। যার প্রেক্ষিতে এদিন শীর্ষ আদালত ফের রাজ্যপালকে বিঁধেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী দ্বিতীয় বার বিধানসভায় পাশ করানো বিল যে ‘অর্থ বিল’ হিসাবে বিবেচনা করতে হয়। তামিলনাড়ু বিধানসভা আবার ১০টি বিল পাশ করিয়েছে। দেখা যাক রাজ্যপাল এ বার কী পদক্ষেপ করেন।
[আরও পড়ুন: কোচ দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ কী? হারের পর কী বললেন রোহিতদের হেডস্যর?]
বস্তুত তামিলনাড়ুর রাজভবনে দীর্ঘদিন ধরে আটকে ১০টি বিল। এর মধ্যে সেই ২০২০ সালে বিধানসভায় গোটা দুয়েক বিল পাশ হয়েছিল। ২০২২ সালে ছ’টি এবং ২০২৩ সালে আরও দু’টি বিল পাশ করে স্ট্যালিনের ডিএমকে সরকার। কিন্তু একটাতেও ছাড়পত্র দেননি রাজ্যপাল আরএন রবি। দিন দুই আগেই সেই ১০টি বিল ফেরত পাঠিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে দু’টি বিল পূর্বতন এআইএডিএমকে (AIADMK) সরকারের আমলে পাশ করানো হয়েছিল বিধানসভায়। বাধ্য হয়ে বিলগুলি দ্বিতীয়বার বিধানসভায় পাশ করিয়েছে স্ট্যালিনের সরকার।