নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ইডির হাতে গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তার পরই বিরোধীরা প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। একদিকে কেজরির দলের আতিশি বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’ Brien) প্রশ্ন তুললেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর পর এই ধরনের ঘটনায় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কী হবে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এই গ্রেপ্তারিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে তোপ দেগেছেন।
এদিন কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে ডেরেক এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই এই সব! রাজনৈতিক দলের প্রধান, মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী, সমস্ত বিরোধীরাই নিগৃহীত ও গ্রেপ্তার হয়ে চলেছেন এভাবে। আমাদের মূল্যবান গণতন্ত্রের কী হবে? আসুন আমরা সবাই মিলে আসন্ন বিপর্যয় থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাই।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এক্স হ্যান্ডলে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লিখেছেন, ‘নির্বাচনের সময়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও অসাংবিধানিক। এভাবে রাজনীতির মানকে নামিয়ে আনা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে মানায় না। নিজের সমালোচকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই লড়ুন। সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। এবং অবশ্যই তাদের কাজের পদ্ধতি ও নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলুন। এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু এভাবে দেশের সমস্ত সংস্থার ক্ষমতা ব্যবহার করে কারও রাজনৈতিক লক্ষ্যপূরণ করা এবং চাপ দিয়ে দুর্বল করে দেওয়াটা গণতন্ত্রের নীতিবিরুদ্ধ।’
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ গ্রেপ্তার হন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পর তাঁর বাড়ির সামনে উপস্থিত মন্ত্রী আতিশি বলেন, ”অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এতে কোনও দ্বিমত নেই। আমরা শুরু থেকেই পরিষ্কার করে দিতে চাই, উনি জেলের ভিতর থেকেই কাজ করবেন। কোনও আইন তাঁকে আটকাতে পারবে না। উনি দোষী সাব্যস্ত হননি।” সেই সঙ্গেই তাঁর তোপ, ”বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদির চক্রান্তেই ওঁর এই গ্রেপ্তারি। দুবছর আগে এই নিয়ে মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ১ টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি ইডি বা সিবিআই। অথচ আপ নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়িতে হাজারেরও বেশি হানার ঘটনা ঘটেছে।”