সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় (Bharat Jodo Nyay Yatra) ফের উঠে এল হিজাব বিতর্ক (Hijab Ban)। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কারও পোশাক পরা বা পোশাকের পছন্দ নিয়ে সরকারের কোনও বক্তব্য থাকবে না। মেয়েরা কী পোশাক পরবেন, সেটা তাঁরাই ঠিক করবেন। ঘোষণা করলেন কংগ্রেস নেতা।
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলাকালীন উত্তরপ্রদেশে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাহুল। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এক ছাত্রী প্রশ্ন করেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী হলে মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন? প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস (Congress) নেতা বলেন, “এটা সরকারের বিচার্য হতে পারে না। কে কোন পোশাক পরবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ, অধিকারের বিষয়। সরকারের এখানে কিছু বলার থাকতে পারে না।”
[আরও পড়ুন: আখনুরে বানচাল অনুপ্রবেশের ছক, পুঞ্চে চলছে অভিযান, কাশ্মীরে খতম জেহাদি]
রাহুলের কথায় লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের উসকে গেল হিজাব বিতর্ক। কিছুদিন আগেই বেসরকারিভাবে কর্ণাটকের স্কুলগুলিতে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা তুলেছে সরকার। তবে মামলাটি এখনও আদালতের বিচারাধীন। তাই সরকারি ঘোষণা করা সম্ভব নয়। এদিন রাহুল গান্ধীও কৌশলে বুঝিয়ে গেলেন কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ভাটপাড়ায় ভিকি যাদব খুনে যুক্ত খোদ বিধায়ক’, সাংসদ অর্জুনের দাবিতে শাসক শিবিরে অস্বস্তি]
কর্নাটকে বিজেপি সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী বিএস বোম্মাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এহেন নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয় কর্নাটক হাই কোর্টে। সেখানেও নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষেই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর মামলা পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের রায়েও হাই কোর্টের নির্দেশই কার্যত মান্যতা পেয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে এবার সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা ইচ্ছামতো হিজাব পরতে পারবে। এনিয়ে আর বাধা দেওয়া হবে না।