সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। তাদের অভিযোগ, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কেননা নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। বিঘ্নিত হবে গোপনীয়তা।
ফেসবুক (Facebook) থেকে টুইটার (Twitter)। সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) জায়েন্ট কি এবার কেন্দ্রের রোষে পড়তে চলেছে? মঙ্গলবার দিনভর এই নিয়ে জল্পনা ছিল। এমনও সম্ভাবনার কথা উঠে আসছিল, ভারতে হয়তো ব্যান করে দেওয়া হতে পারে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামকে (Instagram)। কিন্তু ইতিমধ্যেই বরফ গলতে শুরু করেছে। গুগল ও ফেসবুক দুই শীর্ষস্থানীয় সংস্থাই রাজি হয়েছে কেন্দ্রের নয়া গাইডলাইন মেনে চলার ব্যাপারে।
কিন্তু এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল কেন? আসলে গত ফেব্রুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমাও। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত ওই নয়া নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করার জন্য ৩ মাস সময় দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে গতকাল, মঙ্গলবার। কোনও সাড়া মেলেনি এতদিন। কিন্তু এবার নড়েচড়ে বসেছে শীর্ষস্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ফেসবুক। তৈরি গুগলও।
[আরও পড়ুন: এক লক্ষ করোনা রোগীকে রামদেবের ‘করোনিল’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হরিয়ানা সরকারের! শুরু বিতর্ক]
এখনও পর্যন্ত সরকারের নির্দেশিকায় সবুজ সংকেত না দিলেও তারা যে এই গাইডলাইনকে মানতে রাজি আছে, তা জানিয়েছে গুগল (Google) ও ফেসবুক। বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নতুন নিয়ম তারা মানতে রাজি। তবে কিছু বিষয়ে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়। সংস্থার এক মুখপাত্র তেমনটাই জানিয়েছেন।
এদিকে সার্চ জায়েন্ট গুগলের তরফেও জানানো হয়েছে ভারতের আইনি প্রক্রিয়াকে তারা সম্মান করে। বিগত দিনে যতবার কোনও স্থানীয় আইন ভঙ্গকারী কিংবা অন্য ধরনের সমস্যা উদ্রেককারী কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ এসেছে কেন্দ্রের তরফে, তখনই তাতে সাড়া দিয়েছে তারা। এবারও তারা সহযোগিতায় রাজি। তবে আপাতত আরও কিছুটা সময় চাইছে গুগল। সেই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত নয়, সরকারের সব নিয়মের সঙ্গেই তারা একমত কিনা।
এদিকে এখনও ওই ডেডলাইন বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে এই নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে গাইডলাইনে পরিবর্তন যে আর করা হবে না, তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। এক সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের সাফ কথা। পছন্দ হোক বা না হোক, নয়া নির্দেশ পুরোপুরি মানতেই হবে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে।