সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মানচিত্র (India Map) থেকে বাদ জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ। এমনকী নেই চিনের দখলে থাকা বহু ভারতীয় ভুখণ্ড। এমনই বিকৃত একটি মানচিত্র নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। যা দেখামাত্রই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। দ্রুত হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটাকে এই ভুল শুধরে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আসলে, বর্ষবিদায়ের দিন নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে ইউজারদের উদ্দেশে একটি বার্তা পোস্ট করে হোয়াটসঅ্যাপ। সেখানে যে ভারতের ম্যাপটি পোস্ট করা হয়েছে, সেটি বিতর্কিত। ওই মানচিত্রে জম্মু এবং কাশ্মীরের একটা বড় অংশ অর্থাৎ পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হয়নি। এমনকী, ভারতের বেশ কিছু এলাকা যা কিনা চিনের দখলে আছে, সেটাও দেখানো ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ এই মানচিত্রটি পোস্ট করার পরই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়ে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে ভুল শুধরে নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
[আরও পড়ুন: রাহুলকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে দেখতে আপত্তি নেই! নীতীশের মন্তব্যে অক্সিজেন পেল কংগ্রেস]
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মধ্যে বিষয়টি নজরে আসে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের। টুইটে তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন,”হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ, যত দ্রুত সম্ভত এই ভুলটা ঠিক করে ফেলা হোক।” এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে তিনি শুনিয়ে দিয়েছেন,”যে সব সংস্থা ভারতে ব্যবসা করছে। বা করতে চায়, তাঁরা যদি ব্যবসা চালিয়ে যেতে চায় তাহলে তাঁদের সঠিক মানচিত্র ব্যবহার করতেই হবে।” মন্ত্রীর বার্তার পরই অবশ্য টুইটটি ডিলিট করে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
[আরও পড়ুন: ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে নিখোঁজ আরও এক পুতিন বিরোধী রুশ নাগরিক! রহস্য ঘনাচ্ছে ওড়িশায়]
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ভারতের এই ধরনের বিতর্কিত মানচিত্র ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোভিডের প্রভাব বোঝাতে WHO-ও এমনই একটি বিতর্কিত মানচিত্রের ছবি পোস্ট করেছিল। সেই মানচিত্রেও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হয়নি।