সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যৌন হেনস্তার অভিযোগে কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। যদিও তাঁর টিকি ছোঁয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত। বিরোধীদের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাংকে বিতর্কিত বাহুবলী নেতার প্রভাবের কারণেই ‘সাত খুন মাফ’। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ দাবি করেছে, ২০১৭ সালে বিজেপির গোয়া দখলের নেপথ্য কারিগরও ছিলেন ব্রিজভূষণ। তাঁর কৌশলেই বেশি আসনে জিতেও সৈকত রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠছে, সেই কৃতজ্ঞতার দায়েই কি নিষ্পৃহ বিজেপি?
ছ’বছর আগের ঘটনা। দ্য প্রিন্টের দাবি, গোয়ায় ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসতেই ডাক পড়েছিল ব্রিজভূষণের। যিনি নিজে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা, বলরামপুর এবং কায়সারগঞ্জের ছ’বারের সাংসদ। সৈকত রাজ্যের আঞ্চলিক দল জিএফপি-র সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক বসেছিলেন ব্রিজভূষণ। এর পরেই জিএফপি-বিজেপি জোট গোয়ায় ক্ষমতা দখল করে। যদিও গোয়ার বিজেপি সভাপতি সদানন্দ তানাভদের দাবি, সরকার গড়ায় ব্রিজভূষণের অবদান সম্পর্ক তাঁর ধারণা নেই। তবে জিএফপি নেতা ভিজাই সরদেশাই ব্রিজভূষণের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন।
[আরও পড়ুন: জলের দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে রক্ত! মানসিক ‘ট্রমায়’ করমণ্ডলের বহু উদ্ধারকারী]
যদিও সরদেশাইয়ের দাবি, মনোহর পারিকরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার শর্তেই সেবার গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন দিয়েছিল তাঁর দল। যদিও ২০১৯ সাল অবধি টিকেছিল দুই দলের জোট। বর্তমানে জিএফপি সৈকত রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল। একই বিষয়ে ব্রিজভূষণের কাছেও জানতে চায় প্রিন্ট, তিনি কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেননি। মেসেজ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি। বিরোধীদের বক্তব্য, ব্রিজভূষণের প্রতি মোদি সরকারের যে পক্ষপাতিত্ব প্রত্যক্ষ করছে গোটা দেশ তথা বিশ্ব তা সাধারণ ঘটনা হতে পারে না কখনই। এমনকী যার কাছে ছোট হয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদকজয়ী সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia), ভিনেশ ফোগাটের (Vinesh Phogat) মতো কুস্তিগিররা, ক্রীড়াবিদদের যৌন হেনস্তার মতো কঠিন অভিযোগও পাত্তা পাচ্ছে না মোদি সরকারের কাছে।