সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার রথযাত্রা। সাত দিন পরে উলটো রথ। এই সময়ের মধ্যে হয় বিপত্তারণী পুজো। মা দুর্গার ১০৮টি রূপের মধ্য একটি বিপত্তারণী। হিন্দু শাস্ত্রমতে মানা হয়, এই পুজো করলে সব পাপ দূর হয় ও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া য়ায়। এই পুজোতে ভক্তরা ১৩ রকম ফুল ও ফল দিয়ে দেবীর ব্রতপালন করেন। পুজোতে একটি লাল সুতো বাঁধারও প্রচলন রয়েছে। সুতোতে ১৩টি গিঁট বাঁধা হয়। এই বছর পুজো কবে, কী রীতি রয়েছে? লাল সুতোর মাহাত্ম্যই বা কী? কেন বাঁধা হয় ১৩টি গিঁট? রইল সব তথ্য।
[আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে জলবন্দি জলপাইগুড়ি-কোচবিহার, নিকাশি ব্যবস্থায় ‘ক্ষুব্ধ’ বাসিন্দারা]
কবে পুজো?
বিপত্তারিণী পুজো রথযাত্রার পরের মঙ্গল ও শনিবার পালন করা হয়। পুজো হবে ৯ জুলাই, মঙ্গলবার ও ১৩ জুলাই, শনিবার। তবে যেকোনও একদিনই পুজো করেন ভক্তরা।
কী রীতি মেনে এই পুজো পালন করা হয়?
পুজোর দিন যিনি উপোস করবেন তিনি সারাদিন চাল দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন না। ভাত, চিঁড়ে, মুড়ি বা এই জাতীয় খাবারের পরিবর্তে ১৩টি লুচি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সঙ্গে ১৩ রকম ফল খেতে হয়। পুজোর দিন নতুন শাড়ি, আলতা, সিঁদুর পরে দেবীর পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে।
লাল সুতোর মাহাত্ম্য
বিপত্তারিণী পুজো (Bipattarini Puja) লাল সুতোর ব্যবহার করা হয়। তা ভক্তরা হাতে বাঁধেন। সুতোটিতে ১৩টি গিঁট দেওয়া হয়। মনে করা হয়, প্রতিটি গিঁটে দেবী দুর্গা থাকেন। তার সঙ্গে ১৩টি দূর্বাও থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস, সুতোটি সমস্ত অমঙ্গল থেকে ভক্তকে দূরে রাখে। অনেকেই এই সুতো সারাবছর হাতে রাখেন। আবার অনেকেই পুজোর তিন দিন পরে নদীতে বা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন।