সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল চিন। করোনা ভাইরাসের উৎস সন্ধানে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিশেষজ্ঞদের তদন্ত চালানোর অনুমতি দিল বেজিং। ১৪ জানুয়ারি এই তদন্তকারী দলটি চিনে যাবে বলে জানিয়েছে সে দেশের ‘ন্যাশনাল হেলথ কমিশন’।
[আরও পড়ুন: ম্যাগাজিনের কভারে রাতারাতি ফরসা কমলা হ্যারিস! বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে বিদ্ধ ‘ভোগ’]
২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনে খোঁজ মেলে করোনা ভাইরাসের। তারপর হুবয়েই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহর থেকে ক্রমে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ফলে এই মারণ রোগের উৎস সন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ বেশ কয়েকটি দেশ চাপ বাড়াতে থাকে। শেষমেশ বিশেষজ্ঞদের একটি দল বানিয়ে চিনে পাঠাতে উদ্যোগী হয় WHO। এহেন পরিস্থিতিতে সেই সব বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে জানুয়ারির গোড়াতেই ১০ জনের বিশেষজ্ঞ দলের যাওয়ার কথা ছিল ইউহানে। এমনকি, দলের দুই সদস্য চিনের উদ্দেশে রওনা দিলেও তাঁদের বেজিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে সম্প্রতি জানায় হু। এই বিষয়ে আচমকা সুর বদল করে চিনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus ) জানিয়েছিলেন যে চিনের আধিকারিকরা বিশেষজ্ঞ দলের যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। বেজিংয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই মিশন হু-এর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিনের এহেন পদক্ষেপে তিনি অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন বলে জানান ঘেব্রিয়েসুস। তারপরই সুর বদল করেছে চিন। তবে আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দলটিকে ইউহানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, গোড়া থেকেই করোনা নিয়ে তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে শি জিনপিং প্রশাসনের দাবিও মিথ্যা। পরিস্থিতি যে সত্যিই উদ্বেগজনক তা প্রমাণ করে দেশটির উত্তরের শহর শিজিয়াজুয়াংয়ে শতাধিক মানুষ সংক্রমিত হওয়ায় ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি মানুষকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে এসেছে কমিউনিস্ট দেশটি। এমনও তত্ত্ব উঠে এসেছে যে, এটা নাকি রাসায়নিক অস্ত্র। যদিও সেই তত্ত্বকে সরাসরি খারিজ করে চিন। কিন্তু তার পরেও বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ থেকেই গিয়েছিল। সেই সঙ্গে এই ভাইরাসের উৎসের তদন্তের দাবি জোরালো হয় আন্তর্জাতিক স্তরে।