সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপসর্গ জানতে, আক্রান্তের হদিশ পেতে চলতি মাসেই জনস্বার্থে করোনা অ্যাপ আনছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। হু-এর প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি নিজের বয়স, লিঙ্গ, ওজন, উচ্চতা, রোগের ইতিহাস, রক্তের গ্রুপ, কী ধরনের ওষুধ খান সেগুলির জেনেরিক নাম এবং শরীরের তাপমাত্রা-সহ একাধিক তথ্য দিলে গুগল আর্থ ম্যাপে তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করে হু-এর এই নয়া করোনা অ্যাপটি বলে দেবে সেই ব্যক্তি নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না।
অ্যাপটি এটাও বলে দেবে, ওই ব্যক্তি তথা স্মার্টফোনের মালিকের কত কাছে করোনা আক্রান্ত অন্য ব্যক্তিরা রয়েছেন, কত দিন পর্যন্ত ওই ব্যক্তি নিরাপদ থাকবেন, কত দিনের মধ্যে তাঁকে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে, কী কী স্বাস্থ্যবিধি ও আগাম সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে এবং কনটেনমেন্ট জোন থেকে তিনি কতটা দূরে অবস্থান করছেন, তাঁর শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা। অ্যাপটি লঞ্চ করে দ্রুত অ্যাপটি আপডেট ও উন্নত করতে চাইছে হু, যাতে অ্যাপটি খুব সফল ও সক্রিয় থাকে। তবে কোনও ব্যক্তি তখনই এই অ্যাপটির সুফল পাবেন যদি তাঁর শহরের করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবার এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রতিটি মানুষ অ্যাপটি ইনস্টল করে তা ব্যবহার করেন। অ্যাপল ও গুগল-এর প্রযুক্তিবিদরা এই অ্যাপটি তৈরি করতে পরিশ্রম করছেন।
[আরও পড়ুন: আরোগ্য সেতুর সাহায্যে চিহ্নিত ৩০০টি নতুন হটস্পট! ঘোষণা নীতি আয়োগের প্রধানের]
শুক্রবার রয়টার্সকে হু-এর প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্লু টুথ প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে অ্যাপটি জানান দেবে, কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপ ব্যবহারকারী ব্যক্তিটি করোনা সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কি না। কোনও ব্যক্তির উপসর্গ জিজ্ঞেস করে তাঁর কাছ থেকে উপরের তথ্যগুলি চাইবে অ্যাপ। তথ্যগুলি দেওয়ার মিনিটখানেকের মধ্যেই অ্যাপটি জানিয়ে দেবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সত্যি করোনার উপসর্গ রয়েছে কি না। এরপর অ্যাপটি ওই ব্যক্তিকে গাইড করবে কোথায় তিনি কীভাবে করোনা পরীক্ষা করাবেন। স্থান, কাল, পাত্র ভেদে অ্যাপটি পার্সোনালাইজড করা যাবে।
রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ভারতের আরোগ্য সেতুর ধাঁচে এই নয়া অ্যাপটি আনতে চলেছে হু। আরোগ্য সেতুর থেকেও তা আরও উন্নততর করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারত সরকার ছাড়াও ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার এই ধরণের করোনা সংক্রান্ত অ্যাপ আগেই লঞ্চ করেছে। হু-এর প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার খুবই ভগ্নদশা। বেসরকারি সংস্থাগুলি বা সরকারের এরকম অ্যাপ আনার ক্ষমতাই নেই। দুই মহাদেশে সংক্রমণ ভয়াবহ। অজস্র মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন। এই অবস্থায় এরকম অ্যাপ ওই দুই মহাদেশের মানুষকে ভীষণভাবে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা যাতে সবাই ডাউনলোড করে তার জন্য সব দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলতে উদ্যোগী WHO।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে বাড়িতে বসে একঘেয়েমি? মনোবল বাড়াতে ঘরেই আসছে সায়েন্স সিটি]
The post আরোগ্য সেতুর ধাঁচে নয়া উদ্যোগ, আক্রান্তের হদিশ পেতে করোনা অ্যাপ আনছে WHO appeared first on Sangbad Pratidin.