সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতেই তাইওয়ান নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যে চটে লাল চিন। তার মধ্যেই আমেরিকা ঘোষণা করল ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র তাইওয়ানের হাতে তুলে দেওয়ার। ভারতীয় মূল্যে যা ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যার মধ্যে অন্যতম মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা গুঁড়িয়ে দিতে পারবে চিনা নৌবহর। নিঃসন্দেহে এতেই চটবে ওয়াশিংটন।
বুধবার টিভিতে এক বক্তৃতার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়ে ঘোষণা করেন। তবে তিনি চিন ও তাইওয়ান নিয়ে আলাদা করে কিছু বলেননি। ট্রাম্পের মসনদে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও বেশি তিক্ত হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপে যে পরিস্থিতি আরও তিক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।
সাম্প্রতিক সময়ে চিন তাইওয়ানের উপরে সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েই চলেছে। এই অবস্থায় আমেরিকার এমন ঘোষণা। যা মার্কিন অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় চুক্তি হতে চলেছে।
ঘোষিত আটটি অস্ত্র বিক্রয় চুক্তির আওতায় রয়েছে ৮২টি হাই-মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (HIMARS) এবং ৪২০টি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS), যা বাইডেন প্রশাসনের অধীনে রাশিয়া থেকে আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করছিল। এছাড়াও রয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের ড্রোন। রয়েছে সামরিক সফটওয়্যার, জাভেলিন ও টাউ ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ প্রভৃতি।
উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই ড্রাগনের আগ্রাসনে কোণঠাসা তাইওয়ান। বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে দেশটি। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে সেখানে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী। এই অবস্থায় বড় ঘোষণা ওয়াশিংটনের।
