নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নিজেদের পছন্দের লোককেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসাতে চাইছে সংঘ পরিবার। দলের রাশ নিজেদের হাতে রাখাই উদ্দেশ্য বিজেপির মতাদর্শগত অভিভাবক রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস)। বিজেপির কোনও সবল নেতা, যিনি সংঘ পরিবারেও ঘনিষ্ঠ তেমন কারও হাতেই দলের রাশ তুলে দিতে চান তাঁরা, যাতে নতুন সভাপতি নিজের মতো করে দল চালাতে পারেন, কারও অঙ্গুলি হেলনে তাঁকে না চলতে হয়।
সূত্রের খবর, সরকারের পাশাপাশি দলের অন্দরেও যে দীর্ঘদিন ধরে মোদি-শাহর কর্তৃত্ব চলছে সেই ধারা এবার ভাঙার লক্ষ্যে নিয়েই এগোতে চাইছে সংঘ। বিজেপির পুরানো নেতারা, দলের একাংশ সংঘ পরিবারের এই ভাবনার সঙ্গে একমত। আবার, সরকারের পাশাপাশি দলের রাশও আগের মতোই মোদি-শাহর হাতেই থাকুক, তাদের পছন্দের কোনও ব্যক্তিকেই দলের সর্বোচ্চ পদে বসানো হোক তেমনটা চাইছে বিজেপির আরেক অংশ।
[আরও পড়ুন: DA নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের, জামাইষষ্ঠীর আগেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর]
সভাপতি হিসাবে জেপি নাড্ডার মেয়াদ চলতি জুন মাসেই শেষ হতে চলেছে। সেই পদে কে বসতে চলেছেন তা নিয়ে বিজেপির অন্দরমহলে আগে থেকেই দু-তিনটি নাম জল্পনা চলছিল। কিন্তু রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তাঁরা শপথ নিয়ে নেওয়ার পরেই আবার কয়েকটি নতুন নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সবার আগে শোনা যাচ্ছে সুনীল বনশলের নাম। প্রাক্তন আরএসএস প্রচারক বর্তমান দলের সাধারণ সম্পাদক বনশল উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে নির্বাচনের দায়িত্ব সামলেছেন সফলভাবে। তাছাড়া এতদিন ধরে বাংলা, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা– তিন রাজ্যেরও দায়িত্ব সামলেছেন। বাংলায় আশানুরূপ ফল না হলেও বাকি দুই রাজ্যেই সফল হয়েছে বিজেপি। সংঘ এবং মোদি-শাহ উভয়েরই পছন্দের লোক তিনি।
আবার আরেক সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ের নামও সভাপতি পদের দৌড়ে রয়েছে। মহারাষ্ট্রের এই নেতাকে সভাপতি পদে বসানো হলে চলতি বছরের শেষের দিকেই যে মহারাষ্ট্র নির্বাচন রয়েছে, সেখানে ইতিবাচক বার্তা যাবে এবং নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধাজনক ফল দেবে এমন সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। সংঘের আরেক প্রাক্তন প্রচারক ওম মাথুরের নামও সভাপতি পদের জল্পনায় রয়েছে। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা প্রভূত বলেই বিজেপিতে শোনা যায়।