সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেবির (SEBI) নির্দেশ মেনেই রিলায়েন্স পাওয়ার (Reliance Power) ও রিলায়েন্স ইনফ্রাস্টাকচারের (Reliance Infrastructure) ডিরেক্টর পদ ছাড়লেন রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি (Anil Ambani)। সম্প্রতি সেবি নির্দেশ দিয়েছিল, তাদের তালিকভুক্ত কোনও সংস্থার পদে থাকতে পারবেন না অনিল। সেই মতোই শুক্রবার দুটি সংস্থা থেকেই পদত্যাগ করেছেন ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির ভাই অনিল।
গতকালই এই বিষয়ে বিএসই-র (BSE) ফাইলিংয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্টাকচার। সেখানে বলা হয়, “কোম্পানির নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অনিল আম্বানি সেবির অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্টাকচারের বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন।” একইভাবে স্টক এক্সচেঞ্জের (Stock Exchange) ফাইলিংয়েও রিলায়েন্স পাওয়ারও জানিয়েছে, সেবির নির্দেশ মতো পদত্যাগ করেছেন অনিল। কিন্তু অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা কেন জারি করেছিল সেবি? কেনই বা তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন?
[আরও পড়ুন: আরও ৩ মাস বিনামূল্যে রেশন পাবে উত্তরপ্রদেশবাসী, দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েই বড় সিদ্ধান্ত যোগীর]
আসলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনিল-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সংস্থার তহবিল থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার প্রেক্ষিতেই অনিল আম্বানির এই ইস্তফা। ওই সময় সেবি নির্দেশ দিয়েছিল, “সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার তালিকাভুক্ত কোনও পাবলিক কোম্পানির পদে থাকতে পারবেন না অনিল। যতক্ষণ না পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সেবির তরফে৷ তাঁকে ডিরেক্টর, প্রোমোটর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে রিলায়েন্স পাওয়ার ও রিলায়েন্স ইনফ্রাস্টাকচারের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত দু’টি সংস্থার অতিরিক্ত ডিরেক্টর পদে রাহুল সারিনকে (Rahul Sarin) নিয়োগ করা হয়েছে। সারিনের মেয়াদকাল পাঁচ বছর। তবে দুই সংস্থার বোর্ড সদস্যরা ডিরেক্টর পদে অনিলের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সমস্যা মিটে গেলেই ফের নিজের জায়গায় ফিরবেন অনিল আম্বানি।
[আরও পড়ুন: মেয়ের দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার পাড়ি বাবার, ভিডিও ভাইরাল হতেই তদন্তের নির্দেশ]
প্রসঙ্গত, একসময় বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি থাকা অনিল আম্বানি এই মুহূর্তে দেউলিয়া। তাঁদের আরকম-এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, রিলায়েন্স টেলিকম ও রিলায়েন্স ইনফ্রাটেলের ঋণ যথাক্রমে ৪৯ হাজার কোটি, ২৪ হাজার কোটি ও ১২ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল ঋণের ভারে জর্জরিত অনিল কয়েক মাস আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে তাঁর তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও সম্পত্তি নেই। জীবনধারণের জন্যও তিনি স্ত্রী-সন্তানের উপর নির্ভরশীল।