সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha 2024) পরই কেন ১৭ সি ফর্ম আপলোড করা যাবে না? এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। ওই ১৭ সি ফর্মেই ভোটদাতার সংখ্যা সম্বলিত তথ্য থাকে। কত ভোটার, কতজন ভোট দিলেন, সবটা থাকে ওই ১৭ সি ফর্মে।
মোট ভোটদাতা কত, ঠিক কতজন ভোট দিয়েছেন। চার দফা নির্বাচনের পর শতাংশের হিসাব দিলেও সেই সংখ্যা কিছুতেই প্রকাশ করছে না নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটদাতার সংখ্যার খোঁজে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে আবেদন। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইল, ভোট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরো হিসাব দেওয়া সম্ভব কি না।
[আরও পড়ুন: ঠাটিয়ে চড় কানহাইয়া কুমারকে, প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থী]
সুবিধা-অসুবিধার পুরো বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (ADR) আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বারবারই বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ছে। কমিশনের ভূমিকায় অসঙ্গতির অভিযোগ প্রকাশ্যে ভোটের পর্বে।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে ‘মার’, পাটুলি থানা ঘেরাও সৃজনের]
১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট হয়। ২৬ এপ্রিল হয় দ্বিতীয় দফার ভোট। এই দু’দফায় ভোট দানের চূড়ান্ত হার কমিশন জানয়েছিল ১ মে। প্রথম দফা ভোটের এগারো দিন পর কেন চূড়ান্ত হার জানাতে হলেও তার ব্যাখ্যা কমিশন দেয়নি। গত ১০ মে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের দলগুলির প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনে দেখা করেন। সেখানেই মোট ভোটের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়। কমিশন নিজে প্রকাশ করার দায়িত্ব না নিয়ে প্রতিনিধিদের বলে প্রিসাইডিং অফিসারের দেওয়া ফর্ম ১৭সি-তে বুথভিত্তিক চূড়ান্ত তথ্য রয়েছে। তা একত্রিত করে মোট সংখ্যা পাওয়া সম্ভব। তার পরই সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে কেন এই ১৭ সি- ফর্ম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপলোড করা যাবে না? ওই ফর্ম আপলোডে অসুবিধা কোথায়? সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে নির্বাচন কমিশকে। ২৪ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।