সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেককে করোনা টিকা কেন দেওয়া হবে না? কী কারণে সকলকে ভ্যাকসিন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র? গত কয়েকদিন ধরেই এনিয়ে চলছে আলোচনা-বিতর্ক। এবার তার ব্যাখ্যা দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। একই সঙ্গে জানিয়ে দিল, আগামী চারটি সপ্তাহ অত্যন্ত উদ্বেগের। করোনা থেকে লড়তে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। বলেন, “টিকাকরণ (Corona Vaccination) অভিযানের মূলত দু’টি লক্ষ্য আছে। প্রথমত, মারণ ভাইরাসের হাত থেকে মৃত্যুর হার কমানো। দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্য পরিষেবা সুরক্ষিত রাখা। ভ্যাকসিন কেউ নিতে চান বলেই যে টিকা দেওয়া হবে তা নয় বরং যাঁদের প্রয়োজন তাঁদেরই টিকাকরণ হবে।”
[আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা! ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ জারি করতে নারাজ আমেরিকা]
বর্তমানে দেশজুড়ে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মার্চ থেকে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই দিল্লি, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যের সরকার কম বয়সিদেরও টিকাকরণের পক্ষে সওয়াল করেছিল। যুব সম্প্রদায়ের থেকে ভাইরাস সংক্রমণের প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রেই বেশি থেকে যায়। সেই কারণেই এই আবেদন জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ব্যাখ্যা, আগের তুলনায় এখন করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সেভাবে নেই। ফলে ধুমধাম করে বিয়ে কিংবা নির্বাচনী প্রচার- সবই চলছে পুরনো ছন্দে। তার উপর অনেকেই কোভিড প্রোটোকল মানছেন না। মাস্ক না পরা, সোশ্যাল ডিসট্যান্স না মানার মতো কারণগুলিই নতুন করে সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ, সংক্রমণ রুখতে আগামী চার সপ্তাহ অত্যন্ত সতর্ক থাকা জরুরি। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে টুইট করে একই কথা মনে করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কোভিড-১৯-এর নিয়মবিধি মেনেই এই লড়াইয়ে জিততে হবে। বলছেন মোদি (PM Modi)।