সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালের প্রথম থেকেই লাগাতার বেড়েছে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। ফেব্রুয়ারি মাসেই মুকেশ আম্বানিকে টপকে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এ যেন এক রূপকথার উত্থান। আর এই সাফল্যের পিছনে ছিল তাঁর একরোখা জেদ ও অধ্যবসায়। হিরের ব্যবসায় মন দিতেই রাতারাতি কলেজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আদানি। সদ্য প্রকাশিত ‘গৌতম আদানি রিইমাজিনিং বিজনেস ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইয়ে এই তথ্যই তুলে ধরেছেন আর এন ভাস্কর।
সেই বইয়ে ভাস্কর জানিয়েছেন, ‘গৌতমভাইয়ের কাছে জীবন মানেই হল রূপান্তর। প্রথমে তিনি নিজে রূপান্তরিত হন। এবং তারপর আশা করতে থাকেন অন্যরাও রূপান্তরিত হবেন। যখন তিনি আরও উন্নতি করলেন, তখন আশা করলেন তাঁর দলের প্রতিটি সদস্য কাজের রিপোর্ট সরাসরি তাঁর কাছেই করবেন।’
[আরও পড়ুন: ভাল আচরণের জন্য মুক্তি পাওয়া বিলকিসের ধর্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছিল শ্লীলতাহানির অভিযোগও! প্রকাশ্যে তথ্য]
আর এই পেশাদারিত্ব শুরু থেকেই ছিল আদানির মধ্যে। জীবনে যখনই কোনও সুযোগ পেয়েছেন, সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তিনি মুম্বই (তৎকালীন বম্বে) চলে আসেন নিজের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বড়দাদা বিনোদ আদানিও। বিনোদ ছিলেন কাপড়ের হোলসেলার। পরে তিনি হিরের কারবারেও নামেন। তাঁর কাছেই হিরের কাজে হাতেখড়ি হয় গৌতমের।
তিনি দক্ষিণ মুম্বইয়ের এক কলেজে ভরতি হন। সেখানে মাস দুয়েক পড়াশোনাও করেন। দাদার হিরের কারবারের অফিস ছিল কাছেই। সকালে আদানি যেতেন হিরের মার্কেটে। সেখানে হিরের নানা খুঁটিনাটি কাজ শিখতে থাকেন। এই ভাবে ধীরে ধীরে ব্যবসায় মন দিয়ে ফেলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে আদানি ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন কলেজের পড়াশোনা তাঁর পক্ষে আর হয়তো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। শেষ পর্যন্ত কলেজে ভরতি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন পূর্ণ সময়ের হিরে ব্যবসায়ী হওয়ার।
আর এপ্রসঙ্গে আর এন ভাস্করের দাবি, ‘গৌতমভাই অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ছিলেন যে প্রথাগত পড়াশোনা করতে হয়নি তাঁকে। তাহলে তিনি শেষ পর্যন্ত পরামর্শদাতা হয়েই থেকে যেতেন, উদ্যোগপতি হতে পারতেন না।’