স্টাফ রিপোর্টার: সিগারেটের প্যাকেটে লেখা থাকে ‘স্মোকিং ইজ ইনজুরিয়াস টু হেল্থ।’ মদের বাক্সে ‘অ্যালকোহল কনজামশন ইনজুরিয়াস টু হেল্থ’। কিন্তু আর বাকি! বাকি কোনও খাবারের প্যাকেট বা পানীয়র বোতলের গায়ে লেখা দেখা যায় না যে তা খেলে শরীরের কী ক্ষতি হতে পারে। কোন কেক খেলে শরীরে কতটা ক্যালরি বাড়বে, বা কোন ফ্রুট জুসে লুকিয়ে রয়েছে কতটা ফ্যাট, সেসব আমাদের অজানাই থেকে যায়। না জেনে আমরা প্যাকেটজাত জিনিস (Packaged Food) ব্যবহার করি, খাই। তা থেকে অনেক সময় স্বাস্থ্যের ক্ষতিও হয়। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বদলায় না।
শুধুমাত্র সিগারেট এবং মদের বাক্সেই লেখা থাকে ‘ওয়ার্নিং লেভেল’। কিন্তু সব জিনিসেই যে তা থাকা উচিত, তেমনটাই মত চিকিৎসক-সহ শিল্পপতিদের একাংশের। সেক্ষেত্রে মানুষ সচেতন হয়ে কোনও প্রোডাক্ট কিনবেন, খাবেন। ইচ্ছে না হলে খাবেন না। মঙ্গলবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত ‘ওয়ার্নিং লেভেল ফর আনহেলদি ফুড’ বিষয়ক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কেক থেকে ভোজ্য তেল অধিকাংশ সংস্থার কর্ণধাররাই ওয়ার্নিং লেভেল থাকার বিষয়ে তাঁদের আপত্তি না থাকার কথাই জানান। তবে প্রত্যেকেরই দাবি, এটা কেন্দ্রীয় সরকার আইন করে করুক। যাতে সব সংস্থাই তা মানতে বাধ্য থাকে। প্যাকেটজাত দ্রব্য খেয়ে মানুষেরও স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়।
[আরও পড়ুন: ডিএসপির মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর এবার কর্মরত মহিলা পুলিশকর্মীকে পিষল পিকআপ ভ্যান]
এদিন বাপুজি কেক প্রাইভেট লিমিটেডের ফ্যাক্টরি ম্যানেজার রাজু রাও বলেন, “আমাদের কেক মোমের কাগজে প্যাকেজিং হয়। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই প্লাস্টিক ব্যবহার করি না। প্রয়োজন হলে আমরা ওয়ার্নিং লেভেল দিয়ে দেব প্যাকেটে।” হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজা নাগের কথায়, অবশ্যই যে কোনও খাবারে ‘ওয়ার্নিং লেভেল’ দেওয়া উচিত। আলোচনাসভায় এদিন তিনি বলেন, “কোন খাবার খেলে অ্যালার্জি হতে পারে, কোন খাবারে বেশি ফ্যাট আছে, এগুলো প্যাকেজিংয়ের সময় লিখে রাখা দরকার। তাতে ক্রেতা না বুঝে কিছু খাবেন না।” সুগার অ্যান্ড স্পাইসের আধিকারিক সব্যসাচী দাস বলেন, “আমাদের প্রোডাক্টে ক্যালরি, ফ্যাট, সুগার কোনটা কত পরিমাণ থাকে, সেটা মেনশন করা থাকে। ফলে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।”
তবে ওয়ার্নিং লেভেল খাবারে লিখে দিলে ক্রেতা কমবে কি না, সে বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। প্রাণ ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের কৌশিক নাগ বলেন, “সরকার নিয়ম করলে তো মানতেই হবে। ক্রেতা কমবে কি না সেটা আগে থেকে বলা যাবে না।” এদিনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কনজিউমার ভয়েসের প্রোজেক্ট হেড নীলাঞ্জনা বোস।