সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম তরঙ্গেই দেশকে কাঁপিয়ে দিয়ে গিয়েছিল কোভিড-১৯। দ্বিতীয় ঢেউ আরও বিপজ্জনক অবতার নিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যু। কিন্তু এ সবের মধ্যেও যে বিষয়টি বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞদের আলাদা করে ভাবাচ্ছে, তা হল কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কম বয়সিরা বেশি আক্রান্ত হওয়া। এর নেপথ্য কোন কারণ কাজ করছে?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) প্রধান, ডা. বলরাম ভার্গবের মতে, এই বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে দু’টি মুখ্য কারণ। তাঁর ব্যাখ্যা, “কোভিডের এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে অল্প বয়সিদের বেশি সংক্রমিত হতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ, প্রথম ঢেউয়ের প্রভাব কিছুটা কমে যাওয়ার পর, তাঁরা নিয়মবিধিকে তোয়াক্কা না করে, খানিকটা যথেচ্ছভাবেই বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। তার উপর আবার, ঠিক এই সময়টাতেই কোভিডের নানা ধরনের প্রজাতিও দেশের নানা অংশে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। ফলত, এঁরা ওই ভ্যারিয়েন্টগুলিতেই সংক্রমিত হয়েছেন এবং এর জন্যই সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও আগামী ১৪ দিন মিলবে এসব পরিষেবা, দেখে নিন একঝলকে]
আইসিএমআর-এর অধিকর্তা ভার্গব আরও জানিয়েছেন, যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কম বয়সিদের মধ্যে সংক্রমণের আধিক্য বাড়লেও, প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গে আক্রান্তদের মধ্যে বয়সজনিত খুব বেশি ফারাক নেই। তবে চল্লিশের উপর যাঁদের বয়স, সংক্রমণে তাঁদের মধ্যেই সংকটজনক পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, ২০২০ সালে করোনার (Corona Virus) প্রথম ঢেউয়ে ৩১ শতাংশ আক্রান্তেরই বয়স ছিল ৩০ বছরের নিচে। আর ২০২১ সালে সেই শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২-এ। তবে এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের আরও দাবি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, বিহার, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা- দেশের সেই ১৮ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকার অন্যতম, যেখানে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে দেখা যাচ্ছে। সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের ১৩টি রাজ্যে ১ লক্ষেরও বেশি সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন আর ২৬টি রাজ্যে করোনার পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশেরও বেশি।