সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌরী লঙ্কেশ হত্যা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। আরএসএস বিরোধিতার কারণেই খুন হতে হয়েছে গৌরীকে। এই তত্ত্বই ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমাগত। পরোক্ষে আঙুল উঠেছে বিজেপি ও সংঘ পরিবারের নেতাদের দিকে। দোষারোপ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীও। এবার সে সবেরই জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
[ গৌরীর পর মৌলবাদীদের হিট লিস্টে লেখিকা অরুন্ধতী রায়! ]
গৌরী লঙ্কেশের মতো প্রবীণ সাংবাদিক খুন হলেন, অথচ সংঘ পরিবারের কেউ এর নিন্দা করলেন না কেন? এ প্রশ্ন উঠছিল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এ কথা মিথ্যা। কেননা বিজেপি ও সংঘ পরিবারের অনেকেই এর তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকেও তুলোধোনা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এ নিয়ে অহেতুক রাজনীতির জল ঘোলা করছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। কেননা গৌরী হত্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার দায় সিদ্দারামাইয়া সরকারেরই। প্রয়াত লঙ্কেশের ভাইয়ের কথা অনুযায়ী, নকশালদের মূলস্রোতে ফেরানোর কাজে নিযুক্ত ছিলেন গৌরী। এর জেরে তাঁর খুন হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না অনেকে। বলা হচ্ছে, নকশালদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ক্রমশ তাদেরই একশ্রেণির বিরাগভাজন হয়ে পড়ছিলেন গৌরী। সেক্ষেত্রে কোনও মতবিরোধের জেরেও তাঁর এই পরিণতি হতে পারে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যদি গৌরী নকশালদের মূলস্রোতে ফেরানোর কাজ করেও থাকেন, তা কি রাজ্য সরকার জানত না? তাহলে গৌরীর জন্য যথোপযুক্ত নিরাপত্তারই বা ব্যবস্থা করা হয়নি কেন?
[ মৃত্যু নেই, প্রয়াণেও অন্যের চোখে আলো ফোটাবেন গৌরী ]
নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অন্য একটি অভিযোগও তোলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর প্রশ্ন, লঙ্কেশের মৃত্যু নিন্দনীয়। কিন্তু যাঁরা এ নিয়ে শোরগোল করছেন, তাঁরা কেরল ও কর্নাটকে সংঘ পরিবারের সদস্য নিহত হলে চুপ করে থাকেন কেন? তাঁর অভিযোগ, তথাকথিত উদারপন্থীরা নকশালদের হয়েও গলা ফাটান। কিন্তু সংঘ পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে মুখে কুলুপ আঁটেন। তাঁর প্রশ্ন, সংঘের সদস্যদের কি মানবাধিকার নেই? লঙ্কেশের হত্যাকারীদের ধরতে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু এখনও একজনও এ ঘটনায় ধরা পড়েনি।
[ সাহসিকতার মূল্য দিয়ে খুন হয়েছিলেন আর কোন কোন সাংবাদিক? ]
The post ‘সংঘ পরিবারের সদস্যরা খুন হলে উদারপন্থীরা নীরব থাকেন কেন?’ appeared first on Sangbad Pratidin.