গোবিন্দ রায়: মেখলিগঞ্জের স্কুলে শিক্ষিকা (Teacher) পদ থেকে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারী চাকরিতে বরখাস্ত হওয়ার পর সেই জায়গা এখনও ফাঁকা। চার মাস পরও যোগ্য প্রার্থী অনামিকা রায়ের নিয়োগ হয়নি। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification) রিপোর্ট অসম্পূর্ণ থাকায় নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। কেন এখনও পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ? শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে রিপোর্ট চাইলেন তিনি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরুর পর প্রথম কোপ পড়ে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার চাকরিতে। পরেশ অধিকারী রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেই সূত্রে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত (Calcutta HC) অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে সমস্ত বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর জায়গায় অনামিকা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী যোগ দেবেন বলে জানা যায়। পরেশ অধিকারীও মন্ত্রিত্ব খোয়ান। এবার অঙ্কিতার ফাঁকা জায়গায় এখনও কেন কেউ যোগ দিলেন না?
[আরও পড়ুন: আলোচনা চলছে ২৭ বছর ধরে, ব্যর্থ চারটি সরকার, কেন গুরুত্বপূর্ণ মহিলা সংরক্ষণ বিল?]
সোমবার এই মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জবাবে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এখনও পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় অনামিকা রায়কে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কাছে রিপোর্ট চান তিনি। বলেন, ”যদি পুলিশ বিরূপ রিপোর্ট দেয়, তাহলে আমি আরও একটা তদন্তের নির্দেশ দেব। উনি তো চাকরিপ্রার্থী, জঙ্গি তো নন। আসল জঙ্গি আসলে তো পালিয়ে যাবে। অনন্তনাগে পাঠিয়ে দেব।”