অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: কোলের সন্তানকে নিয়ে জানালা কেটে পরপুরুষের সঙ্গে পালিয়েছিলেন রাজমিস্ত্রির স্ত্রী। চার মাস পর হদিশ মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার (Pingla) সেই গৃহবধূর। খোঁজ পাওয়া গেল তাঁর প্রেমিকেরও। কিন্তু হদিশ নেই তিন বছরের সন্তানের। তার বাবার অভিযোগ, দুধের সন্তানকে খুন করেছে মা ও তার প্রেমিক। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে রাজমিস্ত্রির স্ত্রী পায়েল ভৌমিককে উদ্ধার করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা প্রেমিক শেখ এসারুলকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু খোঁজ মেলেনি পায়েলের সন্তানের। তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে বুধবার পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পায়েলের স্বামী সোমনাথ ভৌমিক।
[আরও পড়ুন: ফি বকেয়া থাকলেও আটকানো যাবে না পড়ুয়াদের মার্কশিট, বেসরকারি স্কুলকে নির্দেশ হাই কোর্টের]
সাড়ে চার বছর আগে ডেবরা থানার মাড়াতলা এলাকার পায়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় সোমনাথের। তাঁদের তিন বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তিনবছর ধরে হায়দরাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন সোমনাথ। মাঝেমধ্যে বাড়ি আসতেন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পায়েল ছেলের জন্ম নথি আনার জন্য মাড়াতলায় বাপেরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন ১৭ দিন। সেখানকার মেলাতে ময়না থানার গোকুলনগরের বাসিন্দা শেখ এসারুলের সঙ্গে আলাপ হয় পায়েলের। শ্বশুরবাড়িতে ফিরেও এসারুলের সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা চলত তার। এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে বাড়ির জানলা কেটে ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছিলেন বছর বাইশের পায়েল। এর পরই সোমনাথের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অপহরণের মামলা দায়ের করে পুলিশ। চার মাস পর হদিশ মিলল পলাতক বধূর।
পায়েলকে পাওয়া গেলেও সন্তান কোথায় গেল তাই নিয়ে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে পরিবারের। সন্তান কোথায় তা পুলিশের কাছে খোলসা করেননি পায়েল বা এসারুল। পুলিশ এসারুলকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এসে আরও জেরা করতে চায়। আদালতে আলাদা করে হাজির করা হয়েছে পায়েলকেও। পুলিশ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সোমনাথ জানিয়েছেন, ‘সন্তানকে নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন। আমার দুধের শিশুকে খুন করে দেয়নি তো?’