সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে সবার সামনে স্বামীকে অপমান করা, তাঁকে ‘দুশ্চরিত্র’ বলে হেনস্তা করা চরম নিষ্ঠুরতা। এক দম্পতির তরফে দায়ের করা বিচ্ছেদ মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court)। দু’পক্ষের দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখে বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণর ডিভিশন বেঞ্চ স্বামীর বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুরও করেছে।
আদালত জানিয়েছে, কোনও দাম্পত্যেই নিজেদের জীবনসঙ্গীর তরফে অসম্মানজনক ব্যবহার কাম্য নয়। বিশেষ করে সেখানে, যেখানে প্রকাশ্যে কারও সম্মানহানি করা বা ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়। বিবাহ-বন্ধনে রয়েছেন, এমন দু’জনের মধ্যে কারও, অন্য জনকে ‘বেপরোয়া, অবমাননাকর, অপমানজনক এবং প্রমাণসাপেক্ষ নয়,’ এমন অভিযোগে বিদ্ধ করা উচিত নয়। এই ধরনের আচরণে একজনের ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগে। এমন আচরণ চরম নিষ্ঠুরতার নিদর্শন। যে কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে দুই তরফের বিশ্বাস এবং সম্মান থাকাটা প্রয়োজন। অন্যথায় সম্পর্কের ভিত নড়বড় হতে বেশি সময় লাগে না।
[আরও পড়ুন: ‘আসুন, যিশুর দেওয়া শিক্ষা স্মরণ করি,’ বড়দিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা মোদি-মমতার]
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ–এই মামলায় স্ত্রী, তাঁর স্বামীকে স্বামীর অফিসের সমস্ত সহকর্মীর সামনে হেনস্তা করেছিলেন। সকলের সামনে স্বামীকে ‘দুশ্চরিত্র’ বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন এবং সেই সময় অফিসে তাঁর স্বামীর মহিলা সহকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। এই ধরনের আচরণ চরম নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে বিচ্ছেদ চেয়ে স্বামী ফ্যামিলি কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং সেই কোর্ট বিচ্ছেদ গ্রাহ্যও করে। কিন্তু স্ত্রী সেই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে যান। সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে স্বামীর ‘ডিভোর্স’-এর আবেদন মঞ্জুরও করেছে।