অর্ণব আইচ: প্রয়াত ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রী বীণা ভদ্র। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে খবর। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার নিউ আলিপুরের বাড়িতে মৃত্যু হয় বীণা ভদ্রের। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বামী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জেল হেফাজতে থাকায় বীণা দেবীর দেখাশুনার দায়িত্ব ছিল তাঁর মেয়ের হাতে। দীর্ঘ রোগভোগে একপ্রকার অথর্ব হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, স্ত্রীর শেষকৃত্যের জন্য সাময়িক ভাবে জেলমুক্ত করা হতে পারে সুজয়কৃষ্ণকে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তে জানা যায়, হাওয়ালার মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা নিজের বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, হাওয়ালার কোটি টাকার বিনিময়ে প্রচুর জমি, সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। তাঁর নামে ১০০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তকে ভুল পথে চালনা করার অভিযোগও এনেছে ইডি। ২৮ জুন পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সিতে বাধা নেই প্রেমে! ছাত্র আন্দোলনের জেরে কার্যকর হচ্ছে না নতুন আচরণবিধি]
তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুরনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছিলেন কালীঘাটের কাকু। কিন্তু জেরার মুখে ইডির প্রমাণের মুখে তিনি স্বীকার করে নেন ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে চেনেন। ইডির দাবি, টাকার বিনিময়ে বহু প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। সেই প্রার্থীদের টেটের অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট পাঠিয়েছিলেন মানিককে। কিন্তু সেই তথ্য অস্বীকার করেছেন সুজয় ভদ্র। উলটে তদন্তকে ভুলপথে চালনা করার চেষ্টা করেছেন তিনি।