কৃষ্ণকুমার দাস: বাদ সাধল আবহাওয়া। আজ চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না মুকুলজায়া কৃষ্ণা রায়কে (Krishna Roy)। কলকাতার যে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি, সেখানেই চিকিৎসা চলবে বলেই খবর।
গত মাসেই মুকুল রায়ের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গত ১৪ মে জানা যায় সস্ত্রীক মুকুল রায় (Mukul Roy) করোনা আক্রান্ত। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতেই ছিলেন। তবে তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। তাই তাঁকে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। একমো সাপোর্টেই ছিলেন তিনি। ফুসফুস প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই অনুযায়ী অঙ্গদাতার খোঁজ চলছিল। এই পরিস্থিতিতে বুধবার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কৃষ্ণাদেবীকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছিল, ছেলে শুভ্রাংশু রায়-সহ বেশ কয়েকজন কৃষ্ণা রায়ের সঙ্গে চেন্নাইয়ে যাবেন। নানা শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর হতে পারে ফুসফুস প্রতিস্থাপন।
[আরও পড়ুন: ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে মুকুলপত্নীকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত]
জোরকদমে প্রস্তুতি পর্ব সারা হলেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া হচ্ছে না চেন্নাই। জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ের আবহাওয়া বর্তমানে অত্যন্ত খারাপ, তা জানার পরই পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করে রায় পরিবার। শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, “চেন্নাইয়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণেই আজ মাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। আগামিকাল পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভেদাভেদ ভুলে কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অসুস্থতার মাঝে মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুর পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মুকুলজায়ার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে যান। শুভ্রাংশুর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। তারপর ফের শিরোনামে চলে আসেন সপুত্র মুকুল রায়। ফের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তৈরি হয়। অবশেষে সেই জল্পনাকে সত্যি করেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন সপুত্র মুকুল রায়ের।