সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্য হাতি (Elephant) আরিকোম্বান। গত এক দশকে সে কার্যতই অতিষ্ঠ করে তুলেছিল কেরলের (Kerala) চিন্নাকানাল ও শান্থানপাড়ার মানুষের জীবন। তুমুল দাপিয়ে বেড়িয়েছে বহু এলাকায়। অবশেষে সে তার নতুন ‘ঘর’ পেল- পেরিয়ার বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) সীমান্তের একেবারে কাছে অবস্থিত এই জঙ্গল।
কাজটা সহজ ছিল না। হাতিটিকে বশে আনতে ছোঁড়া হয় পাঁচটি গুলি। সে অচেতন হয়ে পড়ার পর তার গলায় জিপিএস কলার পরিয়ে দেওয়া হয়। ওই পরিস্থিতিতেও সে খানিকক্ষণ নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে সে সম্পূর্ণ অচেতন হওয়ার ১০ ঘণ্টা পরে তাকে একটি লরিতে তোলা হয়। তারপর সেই লরিতে চাপিয়েই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ১০০ কিমি দূরের অভয়ারণ্যে। এবার থেকে এখানেই থাকবে সে।
[আরও পড়ুন: ‘ফেকু মাস্টারের মউত কি বাত’, মন কি বাতের শততম পর্বকে কটাক্ষ বিরোধীদের]
রবিবার ভোর চারটের সময় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় অভয়ারণ্যে। তার স্বাস্থ্য একদম সতেজ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে বন বিভাগের তরফে। তবে তার আদে এদিন হাতিটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার আগে বিশেষ পুজোর আয়োজনও করা হয়েছিল। মঙ্গলা দেবীর মন্দিরের সামনে ওই পুজো করা হয়। এবার থেকে এই অরণ্যেই বাকি জীবন কাটাবে অতিকায় দাঁতাল। নতুন বাসস্থানে সে ভাল থাকুক, আপাতত এটাই প্রার্থনা বন দপ্তরের।