ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল সর্বভারতীয় দল হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে দলের শক্তি বাড়ছে। কিন্তু তৃণমূলের ভিত্তি এই বাংলায়। তাই বাংলায় দলের শক্তি আরও বাড়াতে হবে। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভা থেকে দলীয় কর্মীদের এই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে দলের কর্মীদের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন মমতা। সাফ জানিয়ে দিলেন, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে হারাতে বাংলা থেকে বিয়াল্লিশে ৪২ আসনই জিততে হবে। আর বাংলার শক্তিতে ভর করেই উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, ত্রিপুরা-সহ বহু রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে এরাজ্যের শাসকদল।
তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনে বিজেপিকে (BJP) হারাতে একাধিক রাজ্যে লড়াই করবে দল। মমতা বলেন, “আমরা অনেক রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। উত্তরপ্রদেশে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। অখিলেশকে (Akhilesh Yadav) সমর্থন করতে আমি ইউপি যাচ্ছি। লোকসভায় আমি লড়ব। এখন চাই অখিলেশ লড়ুক। গোয়াতেও মাত্র ২ মাসে আমরা লড়াই করেছি। এখনও লড়াই করছি। ত্রিপুরা আমরা নেবই। সিভিক সোসাইটিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ফ্রন্ট করে দেশজুড়ে কাজ করুন। দু’বছর আমাদের হাতে সময় আছে। ৪২-এ ৪২ চাই। বাংলা মজবুত করে, ঘর মজবুত করে চব্বিশে বিজেপিকে সরাতে হবে।”
[আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
ফের দলের সুপ্রিমোর পদ গ্রহণ করেই আগামী দিনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলার দুর্গ অটুট রেখেই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে (BJP) হারানোর লক্ষ্যে এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী দিনে লক্ষ্য যে দিল্লি, সেটা এদিন আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মমতার কথায়। তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। অন্য রাজ্যের নেতারাও তাতে ঠাঁই পাবেন। নতুন ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম বৈঠক হবে দিল্লিতে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি চু কিতকিতের দল’, তীব্র ভর্ৎসনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
সর্বভারতীয় স্তরের পাশাপাশি আগামিদিনে বাংলাতে দলের শক্তি আরও বাড়াতে চান মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ যদি উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিতে চান, তাহলে তাঁকে দলে স্বাগত জানাতে হবে। মমতা এদিন বলেন, ”সাত-আট জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে চায়। আসুক। এসে কাজ করতে হবে। জোর করে আমরা কাউকে নেব না।” অর্থাৎ, বিজেপি বিধায়কদের জন্য তৃণমূলের রাস্তা একপ্রকার খুলে দিলেন মমতা। নেত্রীর বার্তা, রাজ্যে দলকে বহরে বাড়াতে হবে। সেজন্য অন্য দলের নেতারা যোগ দিতে চাইলে, তাঁদের স্বাগত জানাতে হবে।