সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার বদলে সংসদে প্রশ্ন ইস্যুতে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছে এথিক্স কমিটি। কিন্তু তার পরও তিনি মচকাচ্ছেন না। উলটে এই খবর শোনার পর সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্যত হুমকির সুরে বলেছেন, ”লোকসভা থেকে যদি আমাকে বরখাস্ত (Expel) করে দেওয়া হয়, আমি পরের লোকসভাতেই বড় ব্যবধানে জিতে ফিরে আসব।” পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে কটাক্ষ করেছেন মহুয়া। এতে তিনি অবাক হননি বলেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারই তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্রের পদ খারিজের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে এথিক্স কমিটি (Ethics Committee)। এদিন ভোটাভুটিতে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের করার প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ৬টি ভোট, প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন চার বিরোধী সাংসদ। শুক্রবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে এই প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেই সময়ই তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। সেখানেই স্থির হতে পারে, বিতর্কিত সাংসদের পদ থাকছে নাকি তা খোয়াচ্ছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের বাজারেও স্বস্তি, ধনতেরাসের আগে সামান্য কমল সোনার দাম]
তবে পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক, ইস্পাত কঠিন মনোভাব নিয়ে তার মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তা পদে পদেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এই খবরে মহুয়া মৈত্রর প্রতিক্রিয়া, ”এটা ক্যাঙ্গারু কোর্টের পূর্ব নির্ধারিত একটি সিদ্ধান্ত। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে জনগণের কাছে কিন্তু এই বার্তা পৌঁছে গেল যে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটছে।” এ ধরনের ‘শাস্তি’ দিয়ে তাঁকে দমানো যাবে না, তাও স্পষ্ট করেছেন মহুয়া। তাহলে এখন ভবিষ্যৎ কী? এই প্রশ্নের জবাবে মহুয়ার জবাব, ”এটা তো সুপারিশ। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শীতকালীন অধিবেশনে আমার বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দেখা যাক। আগে তো আমার পদ খারিজ হোক, তার পর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ঠিক করব।” তবে তিনি যে ফিরে আসবেন, সেই চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন যথেষ্ট জোরের সঙ্গে।