সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবারই চার মাস পূর্ণ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্ত সিং রাজপুতকে (Sushant Singh Rajput) স্মরণ করেছেন অসংখ্য অনুরাগী। অনেকে প্রয়াত অভিনেতার সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছে। সিবিআই, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট দেশের একাধিক সংস্থা এক মামলার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে, অথচ এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কেন? এই প্রশ্নও উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তর এবার দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। সুশান্ত মামলার তদন্ত নাকি প্রায় শেষ করে ফেলেছে সিবিআই। খুব শিগগিরিই আদালতে সংস্থার পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হতে পারে বলে এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। সুশান্ত মামলা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই এবং অদূর ভবিষ্যতেও তা চলবে।
১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই মুম্বই পুলিশ অভিনেতার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল। তার জেরে মুম্বই পুলিশের বিস্তর সমালোচনা করা হয়েছিল। এরপর বিহার পুলিশে খুনের অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। মূল অভিযুক্ত হিসেবে অভিনেতার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) নাম উল্লেখ করেন তিনি। মুম্বই গিয়ে তদন্ত করে বিহার পুলিশের বিশেষ দল।
[আরও পড়ুন: করোনা নেগেটিভ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, আগের থেকে শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি]
এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার দায়িত্ব নেয় সিবিআই। তারপর একে একে NCB এবং ED মামলার মাদক যোগ এবং আর্থিক তছরুপের দিকটি খতিয়ে দেখতে শুরু করে। মাদক যোগের অভিযোগে রিয়া এবং তাঁর ভাই সৌভিক-সহ (Showik) ১৮জনেরও বেশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিয়া জামিন পেলেও তাঁর ভাই এখনও বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এরই মধ্যে সুশান্ত সিং রাজপুতের ভিসেরা নমুনা পরীক্ষা করে AIIMS-এর ফরেনসিক টিমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তারপর আবার ফরেনসিক টিমের প্রধান ডা. সুধীর গুপ্তর (Sudhir Gupta) ফোন রেকর্ড লিক হয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যেখানে তিনি সুশান্তের মৃত্যুকে খুন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন বলে দাবি করা হয়।
শোনা গিয়েছে, সিবিআইয়ের তরফে সুশান্ত মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবেই ব্যাখ্যা করা হবে। অভিনেতার মৃত্যুতে আর কোনও অস্বাভাবিকত্ব কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা পায়নি। এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর চারমাস পূর্তির দিনই তাঁর দিদি শ্বেতা সিং কীর্তির প্রোফাইল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। কেন তা হয়েছিল? ভারচুয়ার জগতে ফিরে জানিয়েছেন শ্বেতা। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকবার লগ ইন করার চেষ্টা করেছিল কেউ। সেই কারণেই টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছিলেন শ্বেতা (Shweta Singh Kirti)।