নব্যেন্দু হাজরা: বাংলার দাবদাহ আপাতত অতীত। কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে উধাও গরম। এমন আবহে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)! ইতিমধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আর সেই নিম্নচাপই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাতেও।
ঘূর্ণাবর্ত তৈরির অনুকূল পরিবেশ রয়েছে সমুদ্রে। ফলে আন্দামান সাগরে আজই তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। শুক্রবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। আন্দামান সাগর, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়। আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ওড়িশা (Odisha) উপকূলের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঝড়ের প্রভাব বঙ্গ উপকূলে (Bengal Coast) পড়ার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না এখনই।
[আরও পড়ুন: ‘স্তনের ওপর ট্যাটু দেখাতেই হবে!’, ইদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কটাক্ষের শিকার নুসরত]
মৌসম ভবন বলছে, তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী ৬ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে এই নিম্নচাপের ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে আজ অর্থাৎ বুধবারও রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা একই থাকবে। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তিও থাকবে। বৃষ্টি হলে কমবে অস্বস্তি।
আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সিকিমে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আসাম ও মেঘালয়ে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায়। বৃষ্টি হবে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও।