বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়। সিদ্ধান্ত নেবে নিচুতলা। নতুন নির্বাচন। কৌশলগত জোট। সব কিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব জেলা নেতৃত্বকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাম (Left Front), কংগ্রেস (Congress) – দুই দলই। শুধুমাত্র সিলমোহর দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাছেই রাখছে রাজ্য নেতৃত্ব।
সারা বছর এলাকায় থেকে কাজ করেন। তাই রাজ্য নেতৃত্ব থেকে বাস্তব পরিস্থিতি অনেক ভাল বোঝেন নিচুতলার নেতারা। কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Election)থেকে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলার নেতাদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ায় তার ফল মিলেছে হাতেনাতে। অনেকটাই ভোট বাড়িয়েছে বামেরা। দু’টি ওয়ার্ড জেতা ছাড়াও ৬৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছেন বাম প্রার্থীরা। ভোট বেড়েছে ৮ শতাংশ। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। দু’টি ওয়ার্ড জেতার পাশাপাশি ১৬টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: বাংলায় আরও বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা? সন্দেহভাজনের তালিকায় বিদেশফেরত ৪]
এবার বাকি কর্পোরেশন ও বাকি পুরসভা ভোটেও আগের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকছে কংগ্রেস। প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রচার, বামেদের সঙ্গে কৌশলী জোট – সব সিদ্ধান্তই জেলা নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। রাজ্য নেতৃত্ব শুধুমাত্র ইস্তেহার তৈরি ও প্রচারের দায়িত্বে থাকবে। তার জন্য নির্বাচন ও প্রচার কমিটি তৈরি হবে বলে জানান প্রদেশ সভাপতি।
যেহেতু নিচুতলার নেতা-কর্মীরা পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চাইছে না, এমন মনোভাব বুঝতে পেরেই আপাতত জোটের রাস্তায় হাঁটবে না বামেরা। তবে যেখানে জোটের পরিস্থিতি থাকবে সেখানে কৌশলগত জোট (Alliance) হলে আপত্তি করবে না আলিমুদ্দিন। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব জেলা ও এরিয়া কমিটির উপর ছেড়ে দিয়েছে সিপিএম। সেই সঙ্গে দ্রুত প্রার্থীতালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা, গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে বাবা-মা]
সেইসঙ্গে পুরভোটের জন্য একটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, প্রার্থী তালিকায় ৪০ শতাংশের উপরে মহিলা প্রার্থী বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে হবে। এছাড়াও কমপক্ষে ৩২ শতাংশ ছাত্র-যুব ও নতুন মুখ তালিকায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজাররা। কলকাতাতেও কৌশলগত জোটের পথে হেঁটেই সাফল্য মিলেছে। তাই আপাতত সর্বাঙ্গীণ জোটের কথা ভাবা হচ্ছে না বলে জানান সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার পর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে একবার, প্রয়োজনে একাধিকবার আলোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।