বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিতর্ক রয়েছে হাজারও। তার মাঝেই এবার কি মুখোমুখি হতে চলেছেন মুকুল-শুভেন্দু? আগামী শুক্রবারই বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) প্রথম বৈঠক। প্রথা ভেঙে এবার মুকুল রায় (Mukul Roy)এই কমিটির চেয়ারম্যান। আর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কমিটির সদস্য। ওইদিন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু আদৌ কি দু’জনে একসঙ্গে বৈঠকে বসবেন? জোর জল্পনা বিধানসভার অন্দরে। ওইদিন আবার বৈঠকের পর মুকুল রায়ের দলবদল ও সদস্যপদ খারিজ নিয়ে অধ্যক্ষের ঘরে শুনানি হবে। ফলে সেদিকেও নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের।
একুশের ভোটে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে লড়াই ও জয়ের পর মুকুল রায় দলবদল করে আবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এরপর তাঁকে প্রথা ভেঙেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন বিধানসভার স্পিকার। সাধারণত এই পদে থাকেন বিরোধী বিধায়ক। কিন্তু এবারই ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে তৃণমূল শিবিরের কাউকে PAC চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। মুকুলের সদস্যপদ খারিজের দাবিতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেয় গেরুয়া শিবির। প্রতিবাদে বিধানসভার (Assembly) আটটি হাউস ও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান বিজেপির বিধায়করা। তবে কমিটির সদস্য থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির। পরবর্তীতে শাসকদলের বিধায়করাই এই আট কমিটির চেয়ারম্যান হন।
[আরও পড়ুন: ১৬ আগস্টই কেন ‘খেলা হবে’ দিবস? নবান্নে ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রী মমতার]
এই পরিস্থিতিতে ৩০ জুলাই, শুক্রবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠক রয়েছে। মুকুল-শুভেন্দু দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কি সেদিন বৈঠকে মুখোমুখি বসবেন? জল্পনা দুই শিবিরেই। সাধারণত চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে বৈঠকে স্থগিত রাখা হয়। সেক্ষেত্রে বিধায়কদের ভাতা পেতে সমস্যা হতে পারে। যদি রাজ্য রাজনীতিতে তেমন উল্লেখযোগ্য ঘটনা না ঘটে, তাহলে বৈঠকে মুকুলের উপস্থিতি নিশ্চিত। আবার সেদিন শুভেন্দু অধিকারীও বিধানসভায় আসবেন। কারণ, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকের পর মুকুলের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে দ্বিতীয় শুনানি। সেখানে বিরোধী দলনেতাকে হাজির থাকতে হবে। তাই শুভেন্দু বৈঠকে থাকবেন বলেই মনে করছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই। এই পরিস্থিতিতে দু’জনে মুখোমুখি বসেন কি না, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।