shono
Advertisement

ধর্ষকদের সাজাপ্রাপ্তির পরও হুমকি! গ্রামে ফিরতে নারাজ মুজফফরনগর দাঙ্গায় গণধর্ষিতা

সন্তানের সামনেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ওই মুসলিম মহিলা।
Posted: 04:36 PM May 12, 2023Updated: 04:36 PM May 12, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই মুজফফরনগর দাঙ্গার সময় গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত দুই ব্যক্তিকে ২০ বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। এহেন পরিস্থিতিতেও গ্রামে ফিরতে চাইছেন না নির্যাতিতা। তিনি সাফ জানাচ্ছেন, ধর্ষকরা জেলে গেলেও তাদের আত্মীয়রা লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছে তাঁকে। আর সেই কারণেই তিনি তাঁর ও তাঁর সন্তানদের প্রাণের ভয় পাচ্ছেন। তাই গ্রামে তিনি ফিরবেন না।

Advertisement

২০১৩ সালে মুজফফরনগর দাঙ্গার সময় গণধর্ষিতা (Gang-rape) হন ওই মুসলিম মহিলা। গত ১০ বছর ধরে আইনি লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। অবশেষে মিলেছে ন্যায়বিচার। গত মঙ্গলবার এক জেলা আদালত ধর্ষকদের ২০ বছরের সাজা শুনিয়েছে। তবুও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না নির্যাতিতা। তাঁর কথায়, ”ওরা জেলে গেলেও ওদের পরিবার কিন্তু লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছে। ভয় দেখাচ্ছে। আমি কখনওই গ্রামে ফিরব না। নিজের জন্য এবং বাচ্চাদের জন্য ভয় করছে।”

[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তার শিকার ‘তারক মেহেতা কা উলটা চশমা’র জেনিফার, পুলিশের দ্বারস্থ অভিনেত্রী]

এখনও ১০ বছর আগে ফেলে আসা সেই দিনটা দুঃস্বপ্নের মতো রয়ে গিয়েছে তাঁর মনের ভিতরে। মনে পড়ছে, খেতের মধ্যে ৩ মাসের সন্তানের সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করেছিল অপরাধীরা। পরের লড়াইটাও কঠিন ছিল। ধর্ষকদের আইনজীবীরা তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। সব অপমান সহ্য করেও আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ওই মহিলা। প্রথমদিকে পাননি আইনজীবীও। তবুও হাল ছাড়েননি।

মোট সাতটি গণধর্ষণের (Muzaffarnagar gang-rape) মামলা চলছিল আদালতে। তার মধ্যে বাকি ৬ জন শেষ পর্যন্ত লড়াই থেকে সরে এলেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন এই নির্যাতিতা। অবশেষে পেয়েছেন ন্যায়বিচারও। তবুও গ্রামে ফিরতে মন সায় দিচ্ছে না তাঁর।

[আরও পড়ুন: ‘কোনওদিন মাঙ্কি বাত শুনিনি, আমারও কি শাস্তি হবে?’ প্রশ্ন মহুয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement