ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় রাজি হলেও রাজ্যের বকেয়া আদায়ে দিল্লির (Delhi) দরবারে যাওয়া নিয়ে পরবর্তী সময়ে পিছু হঠলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর নিজের দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি। রাজ্যের বকেয়া আদায়ে। তিনি স্পষ্ট জানালেন, তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে একসঙ্গে কোথাও যাবেন না।
এনিয়ে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি সাড়া দেননি, বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovondeb Chatterjee)। সেই খবর শুনে শুভেন্দুর পালটা অভিযোগ, ২০২১-এ যেভাবে বিধানসভা পরিচালনা করছে শাসকদল, তাতে সমস্ত ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত। বিরোধীদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বগটুই থেকে ডেঙ্গু, যে কোনও বিষয়ের উপর আলোচনা চাইলেই বলা হয় ‘বিচারাধীন’। এমনকী বিরোধী দলনেতাকেও সাসপেন্ড করা হয়।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় হ্যান্ডলারের মাধ্যমে পাকিস্তানে তথ্য পাচার? শিলিগুড়িতে ধৃত চরকে নিয়ে তদন্তে STF]
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগও করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করেও পাননি। তারও উত্তর দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ”ফোন ধরিনি, কারণ আমার ফোন ট্যাপ হয়। ফেসটাইমে ধরেছি। দিল্লি যাওয়ার আগে খসড়া প্রস্তাব চেয়ে পাঠিয়েছিলাম। দলে গঠনতন্ত্র আছে। আলোচনা করে জানাব। কিন্তু দেখলাম, আমার ফোন রাখার আগেই টিভিতে দেখানো হয়ে গেল পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতার আলোচনা।”
[আরও পড়ুন: ২ জানুয়ারি নোট বাতিল মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট, যাবতীয় নথি চাইল আদালত]
শাসকদলের প্রতি তাঁর তোপ, ”এই প্রতিনিধিদলে আমাদের কি তারা নিতে চায় নাকি ব্যবহার করতে চায়? বিজেপি কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্ল্যাকমেল করা উদ্দেশ্যে প্রস্তাব এসেছে। সেটা আমরা দেখেছি। আলোচনা করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তৃণমূলের হিংসায় বিজেপি কর্মীদের রক্ত লেগে আছে। যে তৃণমূল বিধানসভার ভিতরে বিজেপি বিধায়কদের শারীরিক নিগ্রহ করে, বিধায়ক-সহ বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করা হয়। সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না, কার্ডেও নাম থাকে না। তাই আমরা একসঙ্গে যাব না।” শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ”বরং ওদের আবাস যোজনায় দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা যখন সুযোগ পাব রাজ্যকেও বলব, দিল্লিকেও বলব।”